নিউ দিল্লি: অষ্টমীর অঞ্জলি ছাড়া যেমন পুজো সম্পূর্ণ হয় না, তেমনই সম্পূর্ণ হয় না অষ্টমীর ভোগ ছাড়া। বাড়িতে যতই নানা ধরনের মন ভরানো খাবার বানান না কেন, পুজোর ভোগের খাবারের স্বাদ আনতে পারবেন না। অমৃতসম সেই সব ভোগ কেবল যেন পুজোর বিশেষ উপলক্ষকে কেন্দ্র করেই তৈরি। পুজো প্রায় দোড়গোড়ায়। অষ্টমীর সাজও তৈরি। এবার দেখে নেওয়া যাক পুজোর ভোগের ছোট্ট তালিকা।
1.খিচুড়ি: পুজো হবে আর খিচুড়ি হবে না এমনটা কি হতে পারে? কখনোই না। সপ্তমী থেকে নবমী –রোজই পুজোর জন্য ভোগ হিসেবে তৈরি হয় খিচুড়ি। মুগড়ালের খিচুড়ি দুর্গাপুজোর ভোগের একটি অপরিহার্য অংশ।
2. লাবড়া: - কুমড়ো, আলু, বেগুন, ঢেঁড়স সব ধরনের সবজি দিয়ে তৈরি বাংলা এই খাবারটি ভোগের অন্যতম অংশ।
3. টমেটোর চাটনি: সর্ষে ফোঁড়ন দিয়ে আদা, কারি পাতা ও চিনি আর সামান্য মশলা দিয়ে তৈরি টমাটোর চাটনি ভোগের সঙ্গে না হলে খাবার আমেজই জমে না।
4. পায়েস; চাল আর দুধ দিয়ে বানানো এই মিষ্টি স্বাদের পায়েসও ভোগের শেষ পাতে আপনার জন্য অপেক্ষা করে থাকবেই। উপরে কাজু কিসমিস বা পেস্তা ছড়িয়েও খেতে পারেন।
5. বেগুন ভাজা বা বেগুনি: খিচুড়ির সঙ্গে বেগুন ভাজা বা গরম গরম বেগুনি না হলে জমেই না। লম্বা সরু ফালি করে কাটা বেগুন বেসনে ডুবিয়ে ছাঁকা তেলে ভাজলেই রেডি প্রিয় বেগুনি। বেগুন ভাজা খিচুড়ি ছাড়া লুচির সঙ্গেও একই রকম ভালো লাগে খেতে।
6. আলু ফুলকপি: আলু আর কুচো করে কাটা ফুলকপি দিয়ে তৈরি সুস্বাদু এই তরকারিটিও খিচুড়ির সঙ্গেই পরিবেশিত হয়। তবে লুচির সঙ্গেও সমান জনপ্রিয়।
7. রসগোল্লা: শেষ পাতে বড় বড় রসগোল্লা না পড়লে আর ভোগ কী হল! ছানার তৈরি নরম রসগোল্লা পুজোর ভোগের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
8. ছোলার ডাল: সাধারণত লুচির সঙ্গেই খাওয়া হয় এই ডালটি।
9. নিরামিষ পোলাও: বাসমতী চাল, মটরশুঁটি, এবং লবঙ্গ দিয়ে তৈরি পোলাও অনেকেই খিচুড়ির বিকল্প হিসেবে ভোগ দিয়ে থাকেন। অষ্টমীতে বিশেষ এই পোলাওয়ের স্বাদ গন্ধ সবই উৎসবের আমেজ আরও বাড়িয়ে দেয়।
10. মিষ্টি দই; বাংলার পুজো কি মিষ্টি দই ছাড়া সম্ভব? একেবারেই না। সবার শেষে ভোগে তাই থাকে মিষ্টি দই।
এবারের পুজোতেও বন্ধু বান্ধব আত্মীয়দের সঙ্গে জমিয়ে হোক পুজোর ভোগ খাওয়া। পুজো কাটুক ভালো।