This Article is From Oct 08, 2018

পুজো মণ্ডপে খাওয়ার পাতে থাকতেই হবে কোনটা

পুজো মণ্ডপে খাওয়ার পাতে থাকতেই হবে কোন কোন বিশেষ পদ

পুজো মণ্ডপে খাওয়ার পাতে থাকতেই হবে কোনটা

দুর্গাপুজো শক্তির আরাধনা। মন্দ, বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজন ও খাবারের উপরে ভালর আধিপত্য বিস্তার। আর আরও আরও খাওয়াদাওয়া। আমরা ওই ক’দিন ঈশ্বর আরাধনায় মগ্ন থাকি, এমনকী অনেকে পুরো নিরামিষ খাবার খেয়েও থাকেন, কিন্তু এটাও ঠিক একাংশের কাছে পুজোর ক’টা দিন যেন মন খুলে খাওয়ার জন্যই বাঁচা।

আপনি যদি কলকাতায় থাকেন তাহলে একদম ভোগ মিস করবেন না। এতে সাধারণত খিচুরি, ভাজা (আলু, বেগুন, কুমড়ো), মিষ্টি আর চাটনি থাকে। আগেকার দিনে পাড়ার ছেলেপুলেরাই বড় মাটির পাত্রে করে ভোগ বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিতেন, অথবা হেঁটে যেতে হত পাড়ার মণ্ডপে, সেখানেই হত পংক্তি ভোজন।

তবে ব্যাঙ্গালোরে প্রচুর বাঙালির বাস থাকায় এখন এখানেও কলকাতার থেকে তেমন আলাদা কিছু বোধ হয় না। মাঝে মধ্যে ভোগের স্বাদটা কিঞ্চিত আলাদা মনে হয়। একবার একটা পুজোমণ্ডপে ভাত আর রসম খেয়েছিলাম বলে মনে আছে। তবে বেশিরভাগ সময়েই বাংলার খাবার পাওয়া যায়।

তা হলে আপনি দুর্গাপুজোয় কী খাবেন? আদতে আমরা সবই খাই। তবুও রইল কিছু নির্দিষ্ট খাবারের সন্ধান।

1) কাঠি রোল

বেশ পুরুষ্টু তেলে ভাজা মটন বা চিকেন রোল পুজোর পাঁচ দিনের মধ্যে অন্তত দু’দিন খেতেই হবে। ১০০% কলকাতার মতো কাঠি রোল হয়তো পাবেন না তবে কোরামাঙ্গালায় বেথানি স্কুলের কাছে বা বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশনের পুজোয় ছোট ছোট স্টলে কিছু রোল পাওয়া যায়।

2) ফুচকা

ফুচকা প্রায় প্রতি দিন খাওয়া যায়। মশলা আর টক জলের মিশেলে শালপাতার বাটিতে যে স্বাদ তৈরি হয় তা আদতে অমৃত সমান।

3) কলকাতা বিরিয়ানি

ডিনারে বা লাঞ্চে যদি বেশ কয়েক বার বিরিয়ানি না খেলাম তা হলে খেলাম কি? কলকাতা স্টাইল মটন বিরিয়ানিতে আলু মাস্ট। আর মটন না খেলে চিকেন তো রয়েইছে। চালগুলো হবে সরু সরু ঝরঝরে। ব্যঙ্গালোরের পুজো মণ্ডপগুলোতে কিন্তু দিব্যি বিরিয়ানি পাওয়া যায়।

4) চপ

না ল্যাম্ব বা পর্ক চপ নয়, একেবারে ফুটপাতের কড়কড়ে করে ভাজা ভেজিটেবিল চপ, ফিশ চপ বা মটন চপ। সাধারণত চপের উপরে একটু চাট মশল‌া ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আর ডিপ থাকে টমেটো বা চিলি সস।

5) লুচি-মাংস

ময়দার লুচি আর পাঁঠার কষা মাংস মানেই পুজোর ঐতিহ্যবাহী খাবার। সত্যি কথা বলতে পুজো ছাড়াও যে কোনও দিন এটা বাঙালির প্রিয় খাবার। তবে মণ্ডপের স্টলে ঠিকঠাক লুচি তেমন একটা চোখে পড়েনি, ওহ! ক্যালকাটা বা অন্য কোনও বড় রেস্তোরাঁয় অবশ্য বেশ ভালই লুচি মেলে।

 

6) মিষ্টি

বাঙালির পার্বণের শুরুও মিষ্টি দিয়ে, শেষও মিষ্টি দিয়েই। রসগোল্লা, সন্দেশ, মিষ্টি দই ছাড়াও আরও হাজারো রকমের মিষ্টির সম্ভার এ সময় মেলে। ভোগেও মিষ্টি অবশ্যই দিতে হয়। এ শহরেও অবশ্য বেশ কিছু দোকানে বাঙালির মিষ্টি পাওয়া যায়। বাঞ্ছারাম, কে সি দাশ তাদের মধ্যে অন্যতম।

7) মিষ্টি পোলাও

ব্যাঙ্গালোরের ফুড স্টলে ঠিকঠাক মিষ্টি পোলাও তেমন চোখে পড়েনি। তবে সত্যিকারের বাঙালি মিষ্টি পোলাও আর সঙ্গে মাছের কালিয়া মানে খাওয়া জমে ক্ষীর। গোবিন্দভোগ চালে তৈরি এই পোলাওয়ে কিসমিস, দারচিনি, এলাচ, জায়ফল, জয়িত্রী, জাফরান থাকে

8) চাউমিন

আমাদের চাইনিজ প্রীতির কোনও ব্যাখ্যা নেই। তাই পুজোর কলকাতায় ট্যাংরায় চায়না টাউনে একটা ট্রিপ মাস্ট। ব্যাঙ্গালোরে অবশ্য ভালই চাইনিজ খাবার পাওয়া যায়। ব্যাঙ্গালোর ম্যান্ডারিন, কিম লি, বেজিং বাইটস, ওয়াংস কিচেন, চুংস আর চুংওয়া গেলেই গোগ্রাসে গিলতে পারেন চাউমিন।

9) ঘুগনি

এক্কেবারে ফুটপাথে শুকনো ছোলার ঘুগনি কলকাতার ফেবারিট। খেতে অনেকটা মশলা পুরির তরকারির মতো হলেও এর নিজস্বতা রয়েছে। উপর থেকে শুধু একটু চাট মশলা ছড়িয়ে দিলেই বাটি একেবারে সাফ।

10) সিঙাড়া ও জিলিপি

যে কোনও খাবারকে প্রতিযোগিতার মুখে ফেলে দিতে পারে এই কম্বিনেশন। আলু, কড়াইশুটির পুরের সিঙাড়া আর মিষ্টি জিলিপির স্টল যে কোনও পুজো মণ্ডপের সামনেই পাবেন।

ডিসক্লেমার

এই লেখার সব মতামত লেখকের নিজস্ব। এর সত্যাসত্য যাচাইয়ের ভার এনডিটিভি-র নয়। এর মাধ্যমে এনডিটিভি-র নিজস্ব মতামত বা বক্তব্য প্রতিফলিত হয় না। এনডিটিভি এর কোনও দায় দায়িত্ব নিতেও বাধ্য নয়।

.