বেজে গেছে শারদীয়া দুর্গাপুজোর ঘণ্টা ৷ দেবী পক্ষ শুরু হতেই পড়েছে ঢাকে কাঠিও ৷ এমন সময় ফ্যাশন ডিজাইনারদের সঙ্গে কথায় কথায় শোনা গেল হ্যান্ডলুম পোশাকের প্রতি প্রাধান্যের সুর ৷ অনেকের মতে, ওয়েস্টার্ন পোশাকের তুলনায় দেশিয় শাড়ির প্রতি মহিলাদের এবার আকর্ষণ বেশি৷ ডিজাইনারদের কথাগুলো কোলাজ করলে উঠে আসে এক নতুন ছবি - গতানুগতিক অভিজাত শাড়ির পাশাপাশি মহিলারা এবার অনেকটাই এগিয়ে যাচ্ছেন লিনেনের দিকে ৷ হতে পারে সেটি সিল্ক লিনেন 'বুটিদার' কিংবা লিনেন জামদানি ৷
ছবি সৌজন্য: DW Studio
বিশেষজ্ঞ ডিজাইনারদের কথায়, লিনেন হল ভীষণভাবে উত্তাপ নিয়ন্ত্রক ৷ তাই একে বলা যেতে পারে 'ছায়া'ময় পোশাকও ৷ লিনেনের আঁশের বৈশিষ্ট্যের জন্য এর বুননের ধরন ৷ অন্যান্য ফেব্রিকের থেকে একেবারে আলাদা ৷ কেউ কেউ লিনেনের সঙ্গে পলিমার মেশানো নিমজরির ব্যবহার করলেও অনেকেই এর পরিবর্তে ব্যবহার করছে সিল্কের জরি ৷ এর সঙ্গে প্রাকৄতিক রং ও আলোর মিশ্রণে শাড়িগুলো হয়ে উঠছে আরও উজ্জ্বল ৷ শুধুই কী তাই! না ৷ ডিজাইনারদের মতে, সাবেকিয়ানা ও আরামদায়ক যদি এক হয়ে যায় তাহলে ব্যবহারকারীদের কাছে তা হয়ে ওঠে সুখময় ৷ তাই এর ব্যবহার ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে ৷
ইতিহাসের পাতা ওলটালে দেখা যায়, এক সময় এ দেশের লিনেনের ব্যবহার ছিল চোখে পড়ার মতো ৷ ইংরেজরাও এদেশে এসে এদেশের আবহাওয়ায় নিজেদের স্বস্তির নিশ্বাস নিতে শুরু করে দিলেন লিনেনের বোনা পোশাক ৷ সেই ঐতিহ্যবাহী লিনেন মাঝে হারিয়ে গেলেও ফিরে আসে নতুন রূপে ৷ প্রাকৄতিক ভেষজ রং ব্যবহারে পরিধানকারীরা একদিকে যেমন হয়ে উঠেছেন সুখকর, তেমনি একই শাড়ি ব্যবহার করতে পারছেন হালকা হোক বা জমজমাট কোনও অনুষ্ঠানে ৷ অস্বস্তিকর হাঁসফাঁস পরিবেশ থেকে নিস্তার পেয়ে সুখানুভূতি বোধ করতে পারছেন সর্বত্রই ৷