Durga Puja: খুলনার বাগের হাটের রায় পরিবারের এই পুজো সাড়ে চারশো বছরের পুরনো।
থিম পুজোর চূড়ান্ত বাড়বাড়ন্তর যুগেও সাবেকি পুজোর (Durgotsav) ঐতিহ্যকে অস্বীকার করা যায় না। আজও বহু প্রাচীন পারিবারিক পুজো একই সঙ্গে বাংলার সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাক্ষ্য বহন করে চলেছে। যেমন খুলনার বাগের হাটের রায় পরিবারের এই পুজো (Durga Puja)। এর বয়স প্রায় সাড়ে চারশো বছর। নবাব সিরাজউদ্দৌলার মামা সরফরাজ খান তখন ওখানকার শাসক। সেই সময় অবিভক্ত বাংলার খুলনার রায় পরিবারে শুরু হয় এই দুর্গাপুজো। আজও এই পুজোয় ছেদ পড়েনি। যতদূর জানা যায়, আট প্রজন্ম আগে রাম রায়ের আমলে শুরু হয়ে সেই পুজো স্বাধীনতার পরেও বেশ কয়েক বছর ওখানেই হয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কারণে ১৯৬৪ সালে এক মুসলিম পরিবারের সঙ্গে তাঁরা জমি বদল করেন। চলে আসেন হাবড়ায়। সেই থেকে এখানেই গত পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে খুলনার রায় পরিবারের দুর্গোৎসব পালিত হচ্ছে।
Durga Puja 2019: অমিতাভ-জয়ার পুজো কাটলো মুখার্জি পরিবারের সাথে, দেখুন বিষেশ কিছু Photos
গোটা রায় পরিবার অবশ্য পরে হাবড়া থেকে কসবায় উঠে আসে। কিন্তু পুজো এখানেই হয়। তাঁর পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে জানা যাচ্ছে, খুলনার মাটি এনে এখানে দুর্গা মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছিল হাবড়ার মোহনপুরে।
রায় পরিবারের পুজোয় অনেক বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে। সপ্তমী, অষ্টমী, নবমীতে সাত কোপে পাঁঠাবলি হয়। সঙ্গে চালকুমড়ো আর আখবলিই হয়।
Durga Ashtami 2019: কলকাতার দেশপ্রিয় পার্কের পুজোয় জনপ্লাবন
সপ্তমীতে সাত রকম, অষ্টমীতে আট রকম, নবমীতে নয় রকম পদ ভোগ রান্না হয়। এছাড়াও পাঁঠার মাংস, ৫ রকমের মাছ, পোলাও, মালপোয়া, তরিতরকারি— একেবারে এলাহি কাণ্ড। মাছের মধ্যে থাকে ইলিশ, কই, কাঁটা পোনা, চিংড়ি।
এখনকার প্রজন্মের সমস্ত সদস্যরা এগিয়ে নিয়ে চলেছেন এই পুজো।
দেখুন ভিডিও