Durga Puja 2019: পুজো রঙিন ভালোবাসার আলপনায়
কলকাতা: মহালয়ার সকালে একমুঠো রঙ ছড়িয়ে গেল বালিগঞ্জ ফাঁড়ির অদূরের রাস্তায়। আদি বালিগঞ্জ সার্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতির (Adi Ballygunge Sarbojonin Durgotsab Samity) পুজো প্রাঙ্গনে। একবছর হল সাবালকত্বের দিকে আরও একধাপ এগিয়েছে দেশ। ভারতীয় সংবিধান থেকে ৩৭৭ ধারা সরে যেতেই মুক্ত ভালোবাসা। ভালোবাসার সেই স্বাধীনতার বর্ষপূর্তিতে সমলিঙ্গের (LGBTQI members) সদস্যরা তাঁদের উৎসব উদযাপন করলেন শনিবার সকালে, পথজুড়ে আলপনা এঁকে (Street graffiti)। তাঁদেরকে উৎসাহ দিতে এই দিন রং-তুলি হাতে তুলে নেন পরিচালক সুদেষ্ণা, অভিনেতা-বাচিক শিল্পী সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, কোরিওগ্রাফার সুদর্শন রায়।
পথ আলপনাতেই কিন্তু ভালোবাসার উদযাপন শেষ নয়। পুজোয় এই উৎসব প্রাঙ্গনে থাকবে তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যদের জন্য থাকবে আলাদা সেলফি কিয়স্ক। এবং সেখানে শুধুই এই বিশেষ সম্প্রদায় নয়, সেলফি তুলতে পারবেন, আড্ডা মারতে পারবেন সব সম্প্রদায়ের মানুষ। এছাড়াও থাকবে, পৃথক স্টল। যেখানে দেখানো হবে ভালোবাসাকে স্বাধীন করতে গত ২০ বছর ধরে কীভাবে প্রতিমুহূর্তে লড়াই করতে হয়েছে সমাজের তথাকথিত প্রান্তবাসীকে। থাকবে ভাদু, টুসু, আলকাপ, গাজন কথা। যারা বারেবারে লিঙ্গভেদের বেড়া ভাঙার কথা বলেছে।
শহরের ঐতিহ্যমণ্ডিত ৭০ বছরের পুরনো এই পুজোয় সমলিঙ্গের যোগদান সম্পর্কে প্রান্তকথার অধিকর্তা বাপ্পাদিত্য মুখোপাধ্যায় জানান, পুজোর আবহে সমাজের মূল স্রোতে ফিরছে প্রান্তবাসীরা। এটা সত্যিই ইতিহাস সৃষ্টি করল। খুশি পুজো কমিটিও। উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, #পুজোউইথপ্রাইড এই থিম করতে পেরে তাঁরাও গর্বিত।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই চিরন্তনী গান, 'রং যেন মোর মর্মে লাগে'কে পাথেয় করে পুজো উদযাপনে সমলিঙ্গ সম্প্রদায় অচিন্ত্য-র পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন একদল মুসলিম যুব সম্প্রদায়। মহালয়ার সকালে এঁদের নিষ্ঠা যেন এই বিশ্বাসেরই জন্ম দিল, দেশ এগোচ্ছে। ভালোবাসা সত্যিই রঙিন, স্বাধীন।