সল্টলেক বিজে ব্লকের পুজো উদ্বোধনে অমিত শাহ
কলকাতা: নির্দিষ্ট সময়ের এক ঘণ্টা পরে এলেন তিনি। প্রশাসনের কড়া নিরাপত্তা ডিঙিয়ে তখন একটি মাছি গলারও ফাঁক নেই। এমন আবহে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষ, নুকুল রায়, রাহুল সিনহাকে সঙ্গে নিয়ে সল্টলেক বিজে ব্লকের (Saltlake BJ Block) পুজো মণ্ডপে পা রাখলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বাইরে তখন অপেক্ষমান জনতার ঢল। তাঁদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়তেই আকাশ-বাতাস কেঁপে উঠল জয় শ্রীরাম ধ্বনিতে। এরপরেই মণ্ডপে ঢুকে আরতি করে প্রতিমা উদ্বোধনের পর সেখান থেকেই বার্তা দিলেন, পুজোয় বিজেপির অংশ নেওয়া কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে নয়। আজ তিনি বিজে ব্লকের পুজোয় এসেছেন বাংলার সেরা উৎসবে যোগ দিতে। একই সঙ্গে রাজ্যবাসীকে শারদীয়ার শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, 'আপনারা খুশি মনে পুজো উপভোগ করুন। আমরা আপনাদের পাশে আছি।'
দয়া করে রাজ্যে বিভেদের রাজনীতি করতে আসবেন না: অমিতকে আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রী মমতার
অমিত শাহ আসার আগেই যদিও পুজো মণ্ডপে উপস্থিত সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্ত। দল বদলের কারণ হিসেবে তাঁর যুক্তি, 'তৃণমূলের শাসনে ভালো নেই রাজ্য। রাজ্যবাসীর জন্য কাজ করব বলেই বিজেপিতে যোগ দিলাম।' অমিত শাহের পুজো উদ্বোধন মঞ্চে হাজিরা কি সেই জন্যেই? সব্যসাচীর উত্তর, গত চার বছর ধরে তিনি এই পুজোয় আসছেন। সেই ধারা বজায় রেখেই এবছরেও তিনি বিজে ব্লকে। যদিও গলায় তাঁর তেরঙা উত্তরীয় কিন্তু অন্য কথাই বলছিল।
অমিত শাহ বা দলের বিধায়ক, সাংসদরা পুজো উদ্বোধনে রাজনীতির রঙের কথা অস্বীকার করলেও রাজ্য রাজনীতি কিন্তু এতে বাংলার উৎসবে গেরুয়া রঙের প্রলেপ লাগল বলেই মনে করছে। পুজো উদ্বোধনে এগিয়ে থাকতে মহালয়ার একদিন আগে মানিকতলা চালতাবাগান লোহাপট্টির পুজো উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নিরিখে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এটি প্রথম পুজো উদ্বোধন।
তৃণমূল যতই বিরোধিতা করুক, নাগরিকত্ব আইন আনবই: কলকাতায় অমিত শাহ
উদ্বোধনের পর পুজো কমিটির সভাপতি উমাশঙ্কর ঘোষ দস্তিদার বলেন, অমিত শাহের পুজো উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে সামান্য দ্বিধা তৈরি হয়েছিল কমিটিতে। কিন্তু দিল্লি থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উপস্থিতির কথা জানাতেই সেই দ্বিধা কেটে যায়। তাঁর দাবি, এর আগেও প্রয়াত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজিত কুমার পাঁজা এসেছিলেন পুজো উদ্বোধনে। শাসক দলের সমস্ত নেতা-মন্ত্রী-সাংসদেরা এবছরেও আছেন প্রতিবছরের মতোই। সুতরাং, এখানে বিশেষ কোনও রাজনৈতিক দলের প্রাধান্য খুঁজতে যাওয়া বৃথা।