মাতৃ আরাধনার সমান্তরালে নানা নান্দনিক, সামাজিক দিক উঠে আসে মণ্ডপসজ্জায়। (প্রতীকী)
দুর্গাপুজোয় (Durga Puja) থিমের রমরমা, তাও বেশ দীর্ঘ সময় ধরেই চলছে। কলকাতার পাশাপাশি জেলার পুজোতেও বহু রকম থিমের দেখা মেলে। মাতৃ আরাধনার সমান্তরালে নানা নান্দনিক, সামাজিক দিক উঠে আসে সেই সব মণ্ডপসজ্জায়। এবছরও (Durga Puja 2019) রাজ্যের দুর্গাপুজোয় দেখা গিয়েছে নানা রকমের থিম। বরিশা ক্লাবের (Barisha club) মণ্ডপে দেখা মিলবে কৃত্রিম মোবাইল টাওয়ার ও ডিশ অ্যান্টেনার। সঙ্গে শয়ে শয়ে পাখির কঙ্কাল। কঙ্কালগুলি ঝুলে রয়েছে টাওয়ার থেকে। আসলে মোবাইল টাওয়ার যে পাখিদের জন্য মৃত্যুফাঁদ তৈরি করেছে, সেই বার্তাই দিতে চাওয়া হয়েছে। দুর্গাপ্রতিমার হাতেও কোনও অস্ত্র নেই। তিনি দু'হাত বাড়িয়ে পাখিদের আশ্রয় দিচ্ছেন।
আগামী বছর মহালয়ার ৩৫ দিন পরে দুর্গাপুজো, ভাবুন একবার!
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে ক্লাবের এক প্রতিষ্ঠাতা সদস্য দেবীপ্রসাদ বসু জানাচ্ছেন, ‘‘শহরে যোগাযোগের উন্নতির জন্য অনেক বেশি মোবাইল টাওয়ার থাকলে সুবিধাই হয়। কিন্তু আমরা এই মণ্ডপের সাহায্যে দেখাতে চেয়েছি যে এই ধরনের টাওয়ারের কী খারাপ ও ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়ে পাখিদের উপরে। মণ্ডপের ভিতরে মা দুর্গাকে দেখানো হয়েছে ‘প্রকৃতি মা' হিসেবে। তাঁর হাতে অস্ত্র নেই। দু'হাতে আশ্রয় দিয়েছেন পাখিদের।''
এই পুজোর বাজেট প্রায় ৪৫ লক্ষ। ১০০ কর্মী মিলে এটি তৈরি করেছেন তিন মাসে। এবার এই ক্লাবের পুজোর ৩১তম বর্ষ।
সনাতনী থেকে থিমসজ্জা, পুজোপ্রেমীদের মোবাইল লেন্সে দেখুন দুর্গাপ্রতিমা
এছাড়াও সন্তোষপুর লেক পল্লি এবার তাদের দুর্গাপুজোর মণ্ডপে তুলে ধরেছে দূষণের সমস্যা। সে সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতেই তৈরি করা হয়েছে এবারের পুজোমণ্ডপ। মণ্ডপের দু'টি অংশ। এক অংশে রয়েছে পলিথিন ব্যাগ, প্লাস্টিকের বোতল, মশার কয়েল এবং বাজি। অন্যদিকে এয়ার কন্ডিশনার ও লাউডস্পিকার দিয়ে সাজানো হয়েছে মণ্ডপ।
দেখুন ভিডিও