This Article is From Aug 04, 2019

Durga Puja 2019: ৭৭ বছরেও এভারগ্রিন একডালিয়া, খুঁটিপুজোয় সম্প্রীতির বার্তা মন্ত্রী সুব্রত-র

বাঙালিয়ানা বলতে আমরা কী বুঝি? পাজামা-পাঞ্জাবি, শাড়ি, পুজোর আগে খুঁটিপুজোর আয়োজন পাড়ার সবাই মিলে সেখানে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করা।

Durga Puja 2019: ৭৭ বছরেও এভারগ্রিন একডালিয়া, খুঁটিপুজোয় সম্প্রীতির বার্তা মন্ত্রী সুব্রত-র

Durga Puja 2019: বন্ধু সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের খুঁটিপুজোয় শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, দেবাশিস কুমার, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য

কলকাতা:

বাঙালিয়ানা বলতে আমরা কী বুঝি? পাজামা-পাঞ্জাবি, শাড়ি, পুজোর আগে খুঁটিপুজোর আয়োজন, পাড়ার সবাই মিলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করা, ঈশ্বরের আবাহনে নতজানু হওয়া আর সবার শেষে মিষ্টিমুখ। এই সমস্ত কিছু আজ, রবিবারের সকালে মিলেমিশে একাকার হল কলকাতার ৬৮ নং ওয়ার্ডের একডালিয়া এভারগ্রিনের (Ekdaila Evergreen) খুঁটি পুজোয় (Khuti Puja)। যে পুজো মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের পুজো বলে রাজ্যে বিখ্যাত। যে পুজো থিমের পুজোকে গুণে গুণে গোল দিয়ে জয়ী করে দুর্গাপুজোর সাবেকিয়ানাকে। যে পুজো এবছর ৭৭ তম বর্ষে পা দিয়েও আক্ষরিক অর্থেই এভারগ্রিন। 

'দেবের টিকি তো বাঁধাই আছে দলের কাছে', অনিকেতের মন্তব্যে ফের রাজনীতির রং অভিনয় আঙিনায়

আজ থেকে ঠিক দু-মাস পরেই শহরজুড়ে বাঙালির সেরা উৎসব দুর্গাপুজো। আজই যেন তার অকাল বোধন হল দক্ষিণ কলকাতার সাবেকি সার্বজনীন খুঁটোপুজোকে ঘিরে। সকাল থেকেই আকাশ জুড়ে মেঘ-রোদ-বৃষ্টির লুকোচুরি খেলা। প্যান্ডেল থেকে মৃদু স্বরে ভেসে আসছে মায়ের স্ত্রোত্রপাঠ। একপাশে পুরোদমে চলছে পুজোর আয়োজন। ফুলের মালায় জড়ানো খুঁটি সাজিয়ে রাখা হয়েছে তার পাশে। এর মধ্যেই সকাল সকাল পাটভাঙা নরম গোলাপি রঙের পাঞ্জাবি- সাদা পাজামায় মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের (Ekdaila Evergreen) উজ্জ্বল উপস্থিতি খুঁটিপুজোর প্যান্ডেলে। ঠিক যেভাবে নিজের দফতর সামলান সেভাবেই পুজোর আয়োজনে যাতে কোথাও, কোনও ত্রুটি না থাকে তীক্ষ্ণ নজর রাখছিলেন সেদিকেও। মঞ্চে তখন পরিবেশিত হচ্ছে পুরাতনী গান।

vq1brqqo

বেলা বাড়তেই আস্তে আস্তে উৎসব প্রাঙ্গনে উপস্থিত হন বিদ্যুৎ মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Shovondeb Chatterjee), স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার, ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের পুরমাতা সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী ছন্দবাণী মুখোপাধ্যায় সহ শাসকদলের একঝাঁক প্রথম সারির নেতা-মন্ত্রী। যদিও সবাই একযোগে জানিয়েছেন, আজ তাঁরা কেউ মন্ত্রী-নেতা হিসেবে নন, একডালিয়ার খুঁটিপুজোয় এসেছেন বন্ধু সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের পুজো বলে।

 নিয়ম মেনে নিষ্ঠার সঙ্গে পুজো শেষ হতেই সবাইকে নিজের হাতে মিষ্টিমুখ করান মন্ত্রীমশাই। অনুষ্ঠান শেষ হয় বছরের শুরুতে আয়োজিত সারা বাংলা বসে আঁকো প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণীর মাধ্যমে। বাঙালি রীতি মেনে সবাইকে ক্লাব কচুরি, তরকারি, অমৃতি আর ল্যাংচা খাইয়ে মধুরেণ সমাপয়েৎ করারও বিশাল আয়োজন ছিল উৎসব প্রাঙ্গনে। তবে সব থেকে নজর কেড়েছে এখানকার সম্প্রীতির আবহ। হিন্দু পুজোয় সসম্মানে আমন্ত্রিত ছিলেন বেশ কিছু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। তাঁদেরকেও যথেষ্ট আদরের সঙ্গেই বরণ করে নেন পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা।

পুজো প্রসঙ্গে পুজো কমিটির কোষাধক্ষ্য স্বপন মহাপাত্র জানান, ৪৩ বছর ধরে তিনি এই পুজোর সঙ্গে জড়িত। এবছর হিমাচল প্রদেশের জাটোলি শিবমন্দিরের আদলে মণ্ডপ নির্মিত হবে। প্যান্ডেলের শোভা বাড়াতে প্রতিবছরের মতোই থাকবে লাখ টাকার ঝাড়বাতি। দশমীর পর সরকারি কার্নিভালে যোগ দিয়ে, প্রতিমা বিসর্জনের পর বিজয়া সম্মীলনী সেরে শেষ হবে উৎসব।

.