This Article is From Sep 23, 2019

Durga Puja 2019: ১০১-এ পা 'নেতাজি'র 'বাগবাজার সার্বজনীন দুর্গোৎসব ও প্রদর্শনী'-এর

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু কলকাতার মেয়র হওয়ার পর তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায় এই পুজো উঠে আসে এখনকার বিশাল মাঠে। পুজোর পাশাপাশি তিনি আয়োজন করতেন স্বদেশি মেলার।

Durga Puja 2019: ১০১-এ পা 'নেতাজি'র 'বাগবাজার সার্বজনীন দুর্গোৎসব ও প্রদর্শনী'-এর

Durga Puja 2019: ১০১-এ পা 'নেতাজি'র 'বাগবাজার সার্বজনীন দুর্গোৎসব ও প্রদর্শনী'-এর

কলকাতা:

‘এখন যে বিশাল মাঠে পুজো হতে দেখেন আগে কিন্তু এখানে বাগবাজার সার্বজনীন দুর্গোৎসব ও প্রদর্শনী (Bagbazar Sarbojonin Durgotsob O Pradarshani) -এর পুজো হত না। হত অন্য জায়গায়। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু (Netaji) কলকাতার মেয়র হওয়ার পর তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায় (Petron) ১৯৩০ সালে এই পুজো উঠে আসে এখনকার বিশাল মাঠে। পুজোর পাশাপাশি তিনি আয়োজন করতেন স্বদেশি মেলার। সেই ঐতিহ্যকে ধরে রেখেই প্রতিবছর আমরা পুজো করে আসছি। এবছর আমাদের পুজোর ১০১ বছর'--- আজ (শনিবার) নেতাজির স্মৃতি বিজড়িত সেই পুজোর খুঁটিপুজোর অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে গর্ব এবং আন্তরিকতার সঙ্গে হারানো দিনকে এভাবেই স্মরণ করলেন পুজো কমিটির সাধারণ সম্পাদক গৌতম নিয়োগী। বাইরে মেঘলা আকাশের বুক চিরে তখন ঝরছে সাদা জুঁই ফুলের মতো অবিশ্রান্ত বৃষ্টি। ভেতরে অঞ্চলবাসীদের নিয়ে নিয়ম-নিষ্ঠা ভরে মন্ত্রপাঠ করে চলছে খুঁটিপুজো (Khuti Pujo)।

aohtgrso

খুঁটিপুজোর আয়োজনের পাশেই শ্বেতপাথরে বাঁধানো দেবী দালান। খুঁটিপুজোর ফাঁকেই সেখানে সবাই কাঁধে করে নিয়ে আসেন দেবীর কাঠামো। শনিবার অর্থাৎ আজ তারও পুজো। এরপর এই কাঠামোর ওপর তৈরি হবে একচালার ডাকের সাজের দেবী। মাত্র একমাসের মধ্যে। গায়ের রং সাবেকি নিয়ম মেনে হলুদ। পুজোর সময় মাঠে বসবে মেলা। ৭০টি স্টল বসবে সেখানে। লোকশিল্পের পাশাপাশি থাকবে কর্পোরেট জোন। চারদিন ধরে থাকবে ঢালাও ভোগ খাওয়ানোর ব্যবস্থা। এছাড়াও থাকবে দশমীতে বিখ্যাত সিঁদুর খেলার আয়োজন। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মহিলারা আসেন এখানে আসেন সিঁদুর খেলতে। পুজোর চারদিন অ়্ঞ্চলের সমস্ত মহিলা ভোগ রান্না থেকে শুরু করে পুজোর কাজে ব্যস্ত থাকেন। 

Durga Puja 2019: গলি থেকে বাংলার শিল্প আঙিনায় পা, বৃন্দাবন মাতৃ মন্দির-এর ১১০তম মাতৃ আরাধনা

প্রতিবছর প্রায় লক্ষাধিক দর্শনার্থী আসেন উত্তর কলকাতার বিখ্যাত এই পুজো দেখতে। প্রতি বছরেই পুজো কমিটি ভিড় উপচে পড়া আটকাতে বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন পুজোর গেট। তাই পুজোর মধ্যে কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা সম্ভব হয় না কমিটির পক্ষে। তবে পুজোর আগে-পরে সমাজসেবা মূলক এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। যেমন, ষষ্ঠীর দিন এলাকার দরিদ্র শিশুদের বস্ত্র বিতরণ করা হয়। এছাড়া, মেধাবী শিক্ষার্থীদের সম্বর্ধনা জানানো,  দুঃস্থ পড়ুয়াদের বৃত্তি দান, কম্বল বিতরণ---এসবও করে কমিটি। পুজোর বাজেট প্রায় ১ কোটি টাকা। স্থানীয় পৌরপিতা বাপী ঘোষ এবং সাংসদ শশী পাঁজা উপস্থিত ছিলেন খুঁটিপুজোয়। প্রতিবছর পুজো উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন রাজ্যপাল।

.