Durga Puja 2019: ‘সৃষ্টির অন্তরে সৃষ্টি'
কলকাতা: ‘মা' শব্দ যেন আশ্রয়স্থল। ভরসার আরেক নাম। তাই মা দুর্গা শুধুই অসুরদলনী নন। আর্ত-অসহায়ের ত্রাতাও। সেই কথা মাথায় রেখে নেতাজি নগর সার্বজনীন পুজো কমিটির (Netaji Nagar Sarbajanin Puja Committee) ৭০ বছরের পুজোর থিম ‘সৃষ্টির অন্তরে সৃষ্টি'। ভাবনা ও সৃজনে দেবাশিস ভট্টাচার্য। দেবীর এই মা রূপকে তুলে ধরতে তাই পুজো কমিটির অনন্য ভাবনা, এবছর ঠাকুরপুকুর ক্যান্সার হাসপাতালের ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশুদের ( Cancer Patient) সঙ্গে ডা. অর্ণব গুপ্তকে নিয়ে। ১ অক্টোবর তৃতীয়ায় বিকেল সাড়ে পাঁচটায় শুভ উদ্বোধন পুজোর।
পুজোর দায়িত্বে আছেন দুই সম্পাদক সেক্রেটারি উৎপল মজুমদার, মনোব্রত পাল। পুজো কমিটির পক্ষ থেকে তাপসী দাশগুপ্ত জানান, নেতাজি নগরের এই পুজোর বৈশিষ্ট্যই হল পুজোয় কখনও রাজনৈতিক রং লাগেনি। বরং এলাকার ২০ হাজার বাসিন্দা প্রতি বছর মিলেমিশে এক হয়ে পুজো করে আসছেন। এবছরেও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। এবং এই পুজোর থেকে অর্থ বাঁচিয়ে প্রতিবছরের মতোই সাহায্য করা হবে নিম্নবিত্ত, দুঃস্থ, পীড়িত ও রুগ্ন মানুষদের।
৭০ বছরের পুজোর মণ্ডপ সাজানো হচ্ছে প্লাস্টার অফ প্যারিসের গায়ে খোদাই করা নানা মূর্তি দিয়ে। যা শিল্পীর তুলির ছোঁয়ায় হয়ে উঠেছে নানা রঙে রঙিন। একই সঙ্গে থাকবে ইলিউশন। প্যান্ডেলের যে কোণ থেকেই দেখবেন বা মুঠোফোনে বন্দি করতে চেষ্টা করবেন এই ভাষ্কর্য, মনে হবে আপনার দিকেই যেন মুখ করে আছে প্রতিটি মূর্তি। এছাড়াও, পুজো মণ্ডপকে ঘিরে বসবে মেলা। থাকবে অসংখ্য স্টল। তাই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে বিজয়া সম্মিলনীতে। আর অষ্টমীর দিনে খিচুড়ি-আলুর দম ভোগ তো আছেই। ২০ হাজার বাসিন্দার ঘরে পৌঁছে যায় এই ভোগ। তবে এবছর থেকে পুজোর একটি দিনে বিশেষ রান্না হবে, যা মূল্যের বিনিময়ে খেতে পারবেন অঞ্চলবাসী থেকে শুরু করে দর্শনার্থীরাও।