This Article is From Sep 26, 2019

Durga Puja 2019: ৭১-এর পল্লি সার্বজনীন দুর্গোৎসবে মা আসছেন ‘সরা’য়

পুরাণ বলছে, নারী মানেই লক্ষ্মী-স্বরূপিনী। সেই কথা মাথায় রেখেই সম্ভবত এবছরে পুজোয় সরা-য় ধরা দিচ্ছেন মা।

Durga Puja 2019: ৭১-এর পল্লি সার্বজনীন দুর্গোৎসবে মা আসছেন ‘সরা’য়

Durga Puja 2019: মা আসছেন ‘সরা’য়

কলকাতা:

‘শঙ্খে শঙ্খে মঙ্গল গাও, জননী এসেছে দ্বারে'--- এই সুরে বাজছে আগমনীর গান। সেই আনন্দের সুর বুকে নিয়ে ৫৩ বছরে পা রাখছে ৭১-এর পল্লি সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি (71 Palli Sarbojonin Durgotsab)। মন্ত্রী সু্ব্রত মুখোপাধ্যায় এবং ৬৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সেলর সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে গত ২০ বছর ধরে পুজোর হাল ধরেছেন অঞ্চলের মহিলারা। পুরাণ বলছে, নারী মানেই লক্ষ্মী-স্বরূপিনী। সেই কথা মাথায় রেখেই সম্ভবত এবছরে পুজোয় সরা-য় ধরা দিচ্ছেন মা। আগামী ৩ সেপ্টেম্বর সন্ধে ৬টায় পুজোর উদ্বোধনে উপস্থিত থাকবেন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং সুর্দশনা মুখোপাধ্যায়। এছাড়াও থাকবেন কলকাতার নামি-দামি চিত্রশিল্পী।

Durga Puja 2019: গানে গানে দেবীবরণ, ‘এবার পুজোয় হেমন্ত-মান্না' সোদপুর দেশবন্ধুনগরে

ঢাকে কাঠি পড়ার আগে পুজোর ইতিকথা শোনা গেল পুজো কমিটির যুগ্ম সম্পাদিকা ঈশিতা মুখোপাধ্যায়ের মুখ থেকে। চিরন্তনী ডাকের সাজে মা সাজবেন প্রতিবছরের মতো। একই সঙ্গে সবার মনে হয়েছে সরা শিল্পকে তুলে ধরার কথা। যে সরায় একসময় লক্ষ্মীপুজো হত ঘরে ঘরে সেই সরার আদর-কদর প্রায় বিলুপ্তির পথে। অথচ সরা ঘর সাজানোর জন্যেও খুব ভালো সামগ্রি। সেই ভাবনা থেকে নানা ধরনের সরাকে গায়ে নিয়ে সেজে উঠবে মণ্ডপ। মণ্ডপের আদল এগজিবিশনের থিমে। দেবভাষা আর্ট গ্যালারির সহযোগিতায়। একই সঙ্গে থাকবে সরার প্রদর্শনী। ১৩বাই ১৩ মাপের ২৫টি সরায় তুলি ধরবেন কলকাতার প্রোথিতযশা শিল্পীরা, বিশ্বভারতীয় ছাত্ররা। আপাতত একজনের নামই জানানো সম্ভব, তিনি কৃষ্ণেন্দু চাকী। এবং মায়ের বিসর্জনের পরে এই সরা নূন্যতম মূল্যে কিনতে পারবেন। প্রদর্শনী চলবে পঞ্চমী থেকে দশমী পর্যন্ত। সেই টাকা জমা হবে পুজো কমিটির ফান্ডে।পুজোর প্রেসিডেন্ট ডা. রামকৃষ্ণ দত্ত রায়। 

Durga Puja 2019: একশোয় ১১০ কেজি রূপোর প্রতিমা, ‘অপরূপা বাংলা মা' কামারডাঙায়

সপ্তমী এবং নবমীতে অ়ঞ্চলবাসী পংক্তিভোজনে বসেন। অষ্টমীতে ঢালাও খআওয়ানো হয়। গত বছর এখানে ওই বিশেষ দিনে খিচুড়ি ভোগ খেয়েছেন ৩২০ জন। এবছর পোলাও হবে। এবছর সপ্তমীর সকালে জলখাবারে থাকবে লুচি, আলুর তরকারি মিষ্টি। দুপুরে ভাত, শুক্তো, ডাল, আলুভাজা, ধোঁকার ডালনা, মাছ, চাটনি পাঁপড়। অষ্টমীতে পোলাও, বেগুনি, ছানার ডালনা, আলুর দম, পায়েস চাটনি, পাঁপড়। নবমীর দুপুরে খাওয়ানো হবে মাটন বিরিয়ানি। দশমীতে ভাসানের পর থাকছে মাটন কিমা, রুমালি রুটি।

.