Durga Puja 209: 1‘বিন্দুতে শুরু বিন্দুতেই বিলীন’ (সৌজন্যে বাদামতলা আষাঢ় সংঘ)
কলকাতা: অঙ্ক বলে, একটি বিন্দু থেকে অনেক কিছু তৈরি করা বা আঁকা সম্ভব। বিজ্ঞান বলে, বিশ্বের শুরু মহাশূন্যে একটি বড় গ্রহ বা তারকার বিস্ফোরণ থেকে সৃষ্ট বিন্দু সম ক্ষুদ্র গ্রহাণু থেকে। যা বিগ ব্যাং তত্ত্ব নামে পরিচিত। পুরাণ বলছে, সেই বিন্দু হল মায়ের ত্রিনয়ন। যার জ্যোতিতে আলোকিত বিশ্ব। সৃষ্ট প্রাণ। তিন তত্ত্বের এক আধারে মিশিয়ে বাদামতলা আষাঢ় সংঘের (Badamtola Asar Shangha) এই বছরের পুজোর (Durga Puja 2019) থিম 'বিন্দুতে শুরু বিন্দুতেই বিলীন'।
৮১ বছরের এই পুজো কলকাতার সেরা দশটি পুজোর অন্যতম। প্রতিবছর দ্বিতীয়া বা তৃতীয়ায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেকটি পুজোর উদ্বোধন করেন, তার মধ্যে দক্ষিণ কলকাতার এই পুজো অন্যতম। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী এই পাড়ার প্রতিবেশি। প্রতি বছরেই নিত্যনতুন ভাবনায় শহরবাসীকে ভাবতে বাধ্য করে বাদামতলা আষাঢ় সংঘ পুজো কমিটি। এবছরেও যে তার ব্যতিক্রম ঘটেনি উদাহরণ পুজোর থিম। কথায় কথায় জানালেন, থিম পরিকল্পনা যাঁর মাথা থেকে বেড়িয়েছে সেই স্নেহাশিস মাইতির সঙ্গে। স্নেহাশিসের মত, স্ট্রাকচার আর আলো দিয়ে ইলিউশন তৈরি করে মণ্ডপে ধরা হবে এই বিন্দু বা সৃষ্টি রহস্যকে। একই সঙ্গে ভেতরে থাকবে ছোট টানেল। যার শেষ প্রান্তে একটি মুখ থাকবে। এছাড়াও সারা প্যান্ডেল জুড়ে থাকবে জটিং। যা সৃষ্টিরসহস্যের জটিলতাকেই বোঝাবে। এবং সব গিয়ে মিশবে বিন্দু। এই বিশেষ অনুভূতি তৈরি হবে মণ্ডপের মধ্যে গেলে।
থিমের পুজোর প্রতিমাতেও সাধারণত থিমের ছোঁয়া থাকে। এখানে কী সেটাই হচ্ছে? স্নেহাশিসের উত্তর, কিছুটা। যেমন, মায়ের ত্রিনয়ন তুলনায় বড় আকারের হবে। মায়ের শেপ সোজা হবে। অস্ত্রও সেইভাবে সাজানে। থাকবে।থিমের পুজো হলেও এখানে কিন্তু সাবেকি রীতি মেনে ভোগ খাওয়ানো হয় অষ্টমী আর নবমীতে। পুজোর প্রধান পৃষ্ঠপোষক মৃদুল পাঠক। তিনি প্রবাসী বাঙালি। থাকেন নিউ ইয়র্কে। রীতি মেনে চারদিনের পুজোর পর পুজো কার্নিভ্যালে অংশ নিয়ে বিসর্জনে যাত্রা করে প্রতিমা। 'আসছে বছর আবার আসব', এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে।