আজন্ম শিল্পীসত্ত্বা লালিত তাঁর মধ্যে। অভিনয় থেকে সঞ্চালনা---সবেতেই তাঁর প্রতিভার ছাপ স্পষ্ট। সেই সঙ্গে তিনি সাজতে ভালোবাসেন। সাজাতেই। এই শখ পূরণ করতে তিনি পুজোর আগে শহরবাসীর জন্য তৈরি করেছেন সেরামিক (Ceramic Junk Jewellery) আর কাঁথা কাজের জুয়েলারি। কারণ, এখনকার প্রজন্ম সোনা-রুপোর থেকেও সাজতে ভালোবাসে জাঙ্ক গয়না দিয়ে। পুজোয় গয়নার ফ্যাশন নিয়ে প্রশ্ন করতেই উত্তর দিলেন তিনি, সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায় (Sujoy Prasad Chattterjee)। জি বাংলার 'ত্রিনয়নী' ধারাবাহিকে যিনি দাপিয়ে 'মামাবাবু'-র মতো খল চরিত্রে অভিনয় করছেন।
হঠাৎ গয়না তৈরির কথা নাথায় এল কেন? উত্তরে সুজয়প্রসাদ জানালেন, 'আমি সাজতে ভালোবাসি। নিজেই গয়না তৈরি করে নিজেকে সাজাই। সাজাতেও ভালো লাগে। সেকথা এক বন্ধুকে জানাতেই তিনি বলেন, কাজ আরম্ভ করছিস কবে? সেই শুরু।' সোনা-রুপো সরিয়ে সেরামিক দিয়ে গয়না বানানোর পরিকল্পনা মাথায় এল কেন? সুজয়ের সহজ উত্তর, 'মানুষ নতুনের পূজারি। আর সোনা-রুপো মহার্ঘ। সেদিক থেকে সেরামিকের আবেদন বিশ্বজনীন। এই মেটেরিয়াল দিয়ে বানানো গয়না দেখতে অনেক স্লিক আর ট্রেন্ডি। এখনকার প্রজন্ম তো এই ধরনের গয়নাই পছন্দ করে। তই সমসাময়িক থাকতে প্রথম পছন্দ হিসেবে বাছলাম একে।'
কী ধরনের গয়না পাওয়া যাবে এই কালেকশনে? সুজয়ের কথায়, 'গলার নানা মোটিফ যেমন মাছ, পাতা, সার্কেল লকেট রয়েছে। সঙ্গে সেট হিসেবে বা আলাদা করে দুলও পাওয়া যাবে। আর থাকছে সূর্যমুখী আংটি। প্রমাণ সাইজের একটি আংটি আঙুলে পরলেই হাত ভরাট। শাড়ি থেকে সালোয়ার, ইন্দো-ওয়েস্টার্ন সব ধরনের পোশাকে দিব্য মানিয়ে যায় এই ধনের গয়না। নানা রঙের হওয়ায় পোশাকের সঙ্গে ম্যাচ করেও পরা যায়।'
এছাড়াও, শান্তিনিকেতনের শিল্প ঘরানাকে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে সুজয়প্রসাদের অনন্য সৃষ্টি কাঁথাকাজের গয়না। এগুলোও পাওয়া যাবে নানা ডিজাইনে। সেরামিকের গয়নার দাম শুরু ৪০০ টাকা থেকে। পুঁতি, কার দিয়ে গাঁথা এই গয়নায় কোনও ধাতু ব্যবহার করেননি শিল্পী।