This Article is From Sep 23, 2019

Durga Puja 2019: দেব-শোভনদেবের উপস্থিতিতে ৭৭-এ পা হাজরা পার্ক দুর্গোৎসব সমিতির?

দশ হাতে দশরকমের অস্ত্র নিয়ে মা মর্ত্যে এলেও (Durga Puja 2019) তিনি কি পারবেন হালের সাইবার অপরাধীদের দমন করতে?

Durga Puja 2019: দেব-শোভনদেবের উপস্থিতিতে ৭৭-এ পা হাজরা পার্ক দুর্গোৎসব সমিতির?

নানা রঙে রঙিন পাসওয়ার্ড

কলকাতা:

কাউন্ট ডাউন শুরু। আর সাকুল্যে এক মাস দু-দিন। তারপরেই বাজবে বোধনের বাজনা (Durga Puja 2019)। বছরভর অপেক্ষার পর বাবার বাড়িতে আসবেন দুর্গতিনাশিনী। দেশ ভাসবে উৎসবের আনন্দে। চারটে দিন ধরে শহর-শহরতলি-মফসসল-গ্রাম-রাজ্যের মানুষ একাকার ঠাকুর দেখার উল্লাসে। দশ হাতে দশরকমের অস্ত্র নিয়ে মা মর্ত্যে এলেও তিনি কি পারবেন হালের সাইবার অপরাধীদের দমন করতে? তাই বাংলা সিনে দুনিয়া বলছে, এবছর নাকি পুজোয় সাইবার অপরাধীদের ওপর কড়া নজর রাখবে কমলেশ্বর মুখোরাধ্যায়ের ‘পাসওয়ার্ড'। টিম পাসওয়ার্ডের সঙ্গে সেই দায়িত্ব সমান ভাবে ভাগ করে নিয়েছে হাজরা পার্ক দুর্গোৎসব সমিতি (Hazra Park Durgotsav Samity)। তাদের এবছরের পুজো প্যান্ডেলের থিম পাসওয়ার্ড (Password)। অর্থাৎ, এবছর আপনার ঠাকুর দেখার তালিকায় সংযোজিত হওয়ার মতো আরেকটি নাম ঢুকেই পড়ল।

Durga Puja 2019: ১০১-এ পা 'নেতাজি'র 'বাগবাজার সার্বজনীন দুর্গোৎসব ও প্রদর্শনী'-এর

এবিষয়ে সবিস্তারে জানালেন পুজো কমিটির কর্ণধার সায়নদেব চট্টোপাধ্যায়, 'আমাদের পুজোর সজ্জাশিল্পী তন্ময় চক্রবর্তীই পাসওয়ার্ড ছবির সেট তৈরি করেছেন। ওঁর মাথাতেই প্রথম এই অভিনব চিন্তা এসেছিল। তন্ময় পুজো কমিটিকে সেটা জানালে সবাই সানন্দে রাজি হয়ে যান। কারণ, আমাদের জীবনে সাইবার দুনিয়া, সাইবার ক্রাইম আর পাসওয়ার্ড প্রায় সমার্থক। আজকের এই অতি দ্রুত গতিশীল জীবন সারাক্ষণই যেন কতগুলো সংখ্যা বা পাসওয়ার্ডে বন্দি। যেমন, আমাদের দিন শুরু পাসওয়ার্ড দিয়ে মোবাইল অন করে। তারপর অফিসে গিয়ে একই ভাবে কম্পিউটার খুলি। এটিএম দিয়ে টাকা তুলি। অনলাইন শপিং বা সিনেমা বুকিং থেকে দিনের শেষে বাড়িতে ফিরে তালা-চাবি ঘুরিয়ে বন্ধ দরজার লক খোলা--- সবখানেই তো পাসওয়ার্ডের খেলা!

এভাবেই ক্রমাগত সংখখ্যা ছকে বন্দি হতে হতে মানুষ এখন যান্ত্রিক। স্বাভাবিক হাসি-আনন্দ-মজা-ঠাট্টা মুছে শুধুই যন্ত্র-নির্ভরতা। একমাত্র বছরের পুজোর চারটে দিন বাঙালি জীবনে যেন স্বাদবদল ঘটে। সম্বৎসরের সমস্ত দুঃখ, হতাশা সরিয়ে যাতে সবাই আনন্দে মেতে উঠতে পারে তার জন্যেই রাজ্য জুড়ে এত আয়োজন। শহরবাসীর মনে সেই আনন্দ ছড়াতেই হাজরা পার্কের দুর্গাপুজো তাই থিম হিসেবে বেছে নিয়েছে পাসওয়ার্ড। যদিও আমাদের পুজোর পাসওয়ার্ড কোনও সংখ্যা নয়, মা। যাঁর কাছে সবাই মাথা নত।' 

Durga Puja 2019: ৭৭ বছরেও এভারগ্রিন একডালিয়া, খুঁটিপুজোয় সম্প্রীতির বার্তা মন্ত্রী সুব্রত-র

পুজো মণ্ডপটি শুরুই হচ্ছে কয়েকধাপ সিঁড়ি দিয়ে উঠে। স্বর্গে উঠতে গেলে যেমন উঁচু পথে হাঁটতে হয় সেভাবেই হালকা উঁচু হতে হতে পথ পৌঁছে যাবে মণ্ডপের ভেতর। যেখানে অনবরত ঝরবে ঝর্ণা। তার ওপর ঘুরবে ডিজিটাল গ্লোব। বলবে পরিবেশ সচেতনতার কথা। সারা মণ্ডপে থাকবে অসংখ্য সংখ্যা। আর তারই মধ্যে দশপ্রহরণধারিণীর সাবেকি মূর্তি।

8ngoeg08

সায়নদেব আরও জানালেন, '৭৭ বছরের পুরনো এই পুজোর শুরু ১৯৪২ সালে। যখন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু কলকাতার মেয়র। সেই সময় হরিজন বা এখন যাঁদের আমরা বলি দলিত, তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হত না পুজো প্যান্ডেলে। তাঁদের জন্য নেতাজি শুরু করেছিলেন এই পুজো। সেই ঐতিহ্য মেনে প্রতি বছর আমরা পাঁচ হাজার হরিজনকে পুজোর চারটে দিন ভরপেট খাওয়াই। মেনুতে থাকে পোলাও, খিচুড়ি, আলুর দম সহ দু-রকমের তরকারি, বেগুনি, চাটনি, পাঁপড়, মিষ্টি। পুজোর পুরো খরচ স্পনসরশিপে চললেও ওঁরা আজও এক টাকা করে চাঁদা দেন ওঁদের অধিকারে।'

Durga Puja 2019: গলি থেকে বাংলার শিল্প আঙিনায় পা, বৃন্দাবন মাতৃ মন্দির-এর ১১০তম মাতৃ আরাধনা

প্রতি বছরেই কোনও না কোনো ছবির উদ্বোধন হয় এই পুজো মণ্ডপে। গত বছর হয়েছিল কিশোর কুমার জুনিয়ার। পুজোর বাজেট আনুমানিক ৪০-৪৫ কোটি টাকা। থিম ছাড়াও এই পুজোর আরও একটি বিশেষ আকর্ষণ, বিদ্যুৎমন্ত্রী নন, সায়নদেব চট্টোপাধ্যায়ের 'বাবা' শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় নিজে পুজো-আরতি করেন অষ্টমীর সন্ধিপুজোর! এবছর সম্ভবত পুজো উদ্বোধনে হাজির থাকবেন টিম পাসওয়ার্ড।

.