অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরির কর্মকর্তাদের সহায়তায় বিস্ফোরকটি নিরসন করা হয়
কলকাতা: কলকাতায় বিশ্বযুদ্ধের স্মৃতি আবার তাজা হয়ে উঠেছে এই শীতকালে। ভয়াবহ সেই দিনগুলোর নানা কথা উস্কে দিয়ে এত বছর বাদে কলকাতা থেকে উদ্ধার হয়েছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন একটি বোমা। ১০০০ পাউন্ড ওজনের এই বোমাটি এই শহরের একটি ডকে নিয়মিত ড্রেজিং অপারেশন চলাকালীন আবিষ্কৃত হয়েছে।
শুক্রবার বস্তুটি উদ্ধারের পর এবং সেটিকে বোমা শনাক্ত করার পর এলাকাটি বন্ধ করে দেয়া হয় এবং পুলিশ, নৌ ও সেনাবাহিনীকে যথাযথভাবে খবরটি জানানো হয় বলেই জানিয়েছেন কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের চেয়ারম্যান বিনীত কুমার।
বিনীত কুমার বলেন, "৪.৫ মিটার লম্বা, ১০০০ পাউন্ড ওজনের বায়ু বোমাটি গতকাল দুপুর ২ টো নাগাদ নেতাজি সুভাষ ডক বার্থ ২-তে ড্রেজিং অপারেশনের সময় উঠে আসে। প্রাথমিকভাবে আমরা ভেবেছিলাম বোধহয় এটি টর্পেডো, তবে নৌবাহিনী আমাদের নিশ্চিত করে যে এটি একটি বোমা। এবং তাও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের।"
অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরির কর্মকর্তাদের সহায়তায় বিস্ফোরকটি নিরসন করা হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আজ বাংলাদেশে ভোট, জিতলে ইতিহাস গড়বেন হাসিনা
পশ্চিমবঙ্গের নৌবাহিনীর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কমান্ডার সুপ্রভকুমার দে, বলেছেন যে বোমাটি নিয়ে ঝুঁকির তেমন কোনও কারণ নেই। এটির সঙ্গে বেশ কয়েকটি নিরাপত্তা বলয় সংযোজিত রয়েছে।
তিনি ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, "এটি একটি ৪৫০ কেজি ওজনের বায়ুবাহী বোমা যা যুদ্ধ বিমানের সাথে সংযুক্ত করার জন্য বন্ধনী বা বেল্টযুক্ত। বোমাতে যেহেতু বেল্ট এখনও যুক্ত আছে তাই এর থেকে ক্ষতির কোনও আশঙ্কা নেই বলেই মনে হয়। এছাড়াও, বায়ুবাহী যে বোমা, এই ধরণের বোমা ফাটাতে হলে সেগুলিকে নির্দিষ্ট উচ্চতা থেকে মাটিতে নিক্ষেপ করতে হয়।” তিনি আরও জানান, নৌবাহিনী এই বোমাটি নিয়ে বিশেষ কিছু করতে পারবে না।
অন্য প্রেমের গল্প- ৭২ বছর পরে ফের স্ত্রীর সঙ্গে আলাপ ১৯৪৬ এর কৃষক আন্দোলনের নেতার
কমান্ডার সুপ্রভকুমার দে বলেন, "আমি আশা করি কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি থেকে সাহায্য চাইতে পারে, গোলাবারুদ তৈরিতে তাঁদের বিশেষ দক্ষতা ও জ্ঞান রয়েছে। প্রয়োজন হলে আমরা সাহায্যের জন্য ভাইজাগ নৌবাহিনীর সাথেও যোগাযোগ করতে পারি"।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, হুগলি নদীর পূর্ব তীরের নেতাজি সুভাষ ডকটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মার্কিন নৌবাহিনীর অভিযানের জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছিল।