World Bank ভারতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছে
ওয়াশিংটন: বৃহস্পতিবার প্রকাশিত বিশ্ব ব্যবসায়িক র্যাঙ্কিংয়ের (Ease Of Doing Business) ক্ষেত্রে ভারত ১৪ ধাপ এগিয়ে এসে তালিকায় ৬৩ তম স্থানে পৌঁছে গেছে। মনে করা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকারের 'মেক ইন ইন্ডিয়া' 'প্রকল্প এবং বৈদেশিক বিনিয়োগকে আকর্ষণ করে এমন অন্যান্য সংস্কারই দেশকে (India) বিশ্ব ব্যবসায়িক তালিকায় এগিয়ে আসতে সাহায্য করেছে। পাশাপাশি ''ডুয়িং বিজনেস'' তালিকার শীর্ষে থাকা ১০ দেশের মধ্যে ভারতও তৃতীয়বারের মতো জায়গা করে নিয়েছে। এই র্যাঙ্কিং এমন এক সময়ে এসেছে যখন বৈশ্বিক অর্থনীতির মন্দার মধ্যে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক (আরবিআই), বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এবং বিভিন্ন রেটিং এজেন্সি দেশটির প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসকে কমিয়ে ঘোষণা করেছে।
২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দায়িত্ব নেওয়ার সময় ১৯০ টি দেশের মধ্যে ভারত ১৪২ তম অবস্থানে ছিল। চার বছরের সংস্কার বিশ্বব্যাংকের 'ডুটিং বিজনেস' ২০১৮ সালের রিপোর্টে ভারতের র্যাঙ্কিংকে ১০০ তম স্থানে নিয়ে আসে। গত বছর, দেশটি বিভিন্ন সংস্কারের কারণে ২৩ ধাপ এগিয়ে ৭৭ তম অবস্থানে পৌঁছয়।
“আমরা বিশ্বকে বুদ্ধ দিয়েছি, যুদ্ধ নয়”, রাষ্ট্রসংঘে বললেন প্রধানমন্ত্রী
২০২০ সালের ''ডুয়িং বিজনেস'' প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক "ভারতের অর্থনীতির আকারের ভিত্তিতে" দেশে গৃহীত সংস্কারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছে।
"এই নিয়ে তৃতীয় বছর ভারত ডুয়িং বিজনেসের ক্ষেত্রে শীর্ষ দশে অবস্থান করছে, যা খুব কম দেশই এই প্রকল্পের ২০ বছরেরও বেশি সময়ে করতে পেরেছে, ভারত ছাড়া অন্য যে সব দেশ এই কাজ করেছে তারা আয়তন এবং জনসংখ্যার ভিত্তিতে খুবই ছোট", সংবাদসংস্থা পিটিআইকে এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেন বিশ্বব্যাংকের উন্নয়ন অর্থনীতি বিভাগের পরিচালক সাইমন জ্যাঙ্কভ ।
তিনি বলেন, "ভারত এই প্রথম দেশ যাঁরা এ বছর ১৪ ধাপ লাফিয়ে অগ্রসর হয়েছে"।
ভারত ছাড়াও এই বছর 'শীর্ষস্থানীয় দশ পারফর্মার' তালিকার অন্যান্য দেশগুলির মধ্যে রয়েছে সৌদি আরব (৬২), জর্ডান (৭৫), টোগো (৯৭), বাহরিন (৪৩), তাজিকিস্তান (১০৬), পাকিস্তান (১০৮), কুয়েত (৮৩), চিন (৩১) এবং নাইজেরিয়া (১৩১)।
অর্থনৈতিক বৃদ্ধি বেশি বলা হয়েছে, মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টার দাবির উত্তরে কী জানাল কেন্দ্র
প্রধানমন্ত্রী মোদির ''মেক ইন ইন্ডিয়া'' প্রচারই বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে সবচেয়ে কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছে। তাছাড়াও মোদি সরকার যেভাবে বিশেষত বেসরকারি খাতে বিনিয়োগে উৎসাহ দিয়েছে এবং দেশের সামগ্রিক প্রতিযোগিতা বাড়ানোর দিকে লক্ষ্য রেখেছে, সেগুলোও এক্ষেত্রে প্রভাব ফেলেছে, এমনটাই মনে করছে বিশ্বব্যাংক ।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)