Read in English
This Article is From Oct 15, 2019

ভোরের ফোনে নোবেল জিতেছেন শুনে ঘুমোতে চলে যান অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়!

Nobel Prize for Economics 2019: নোবেলজয়ী অভিজিৎ বলেন, জয়ের খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই অভিনন্দন জানিয়ে এত ফোন আসে তাঁর কাছে যে আর খুব বেশিক্ষণ ঘুমোতে পারেননি তিনি।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

Economics Nobel Prize: অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, খুব ভোরে নোবেল জয়ের ফোন আসায় ‘রোজের নিয়মের উপর আক্রমণ’ হওয়ার আশঙ্কা করেছিলেন তিনি

Highlights

  • অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শঙ্কা ছিল, এত ভোরে উঠলে রোজের নিয়মে ব্যাঘাত ঘটবে
  • "আমি খুব ভোরে ওঠার লোক নই" জানিয়েছেন নোবেলজয়ী
  • অভিজিৎ জানিয়েছেন, খুব ভোরে নোবেল জয়ের ফোন পান তিনি
নয়াদিল্লি:

নোবেল পুরস্কারের মতো সম্মান অর্জনের পর একজন মানুষের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে? উচ্ছ্বাস? ফোনের পর ফোন? অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার  জয়ের জন্য বিশ্ব যখন ভারতীয়-আমেরিকান বঙ্গ সন্তান অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhijit Banerjee) কৃতিত্ব নিয়ে মাতোয়ারা তখন নাকি ঘুমিয়ে পড়াটাই বেশি বুদ্ধিমানের কাজ বলে মনে করেছিলেন এই অর্থনীতিবিদ! নোবেল কমিটির একটি টেলিফোনিক সাক্ষাত্কারে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, খুব ভোরে নোবেল জয়ের ফোন আসায় ‘রোজের নিয়মের উপর আক্রমণ' হওয়ার আশঙ্কা করেছিলেন তিনি। নোবেলজয়ী অভিজিৎ আরও বলেন, জয়ের খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই অভিনন্দন জানিয়ে এত ফোন আসে তাঁর কাছে যে আর খুব বেশিক্ষণ ঘুমোতে পারেননি তিনি।

সাউথ পয়েন্টের মুখচোরা ফুটবলপ্রেমী অভিজিৎই নোবেলজয়ী! কী বলছেন তাঁর শিক্ষকেরা?

“খুব ভোরবেলা খবর পাই! আমি খুব ভোরে ওঠার মানুষ নই। আমি ভাবলাম আবার যদি ঘুমিয়ে না পড়ি তাহলে আমার রোজের নিয়মকে আক্রমণ করা হবে,” নোবেল কমিটি দ্বারা ইউটিউবে প্রকাশিত সাড়ে চার মিনিটের সংক্ষিপ্ত ভিডিও ক্লিপে বলেন অভিজিৎ।

Advertisement

জয়ের খবর পেয়ে কি নিশ্চিন্তে অনেকক্ষণ ঘুমোতে পেরেছিলেন অভিজিৎ? প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন: “হ্যাঁ, তবে বেশিক্ষণ নয়... কিছুক্ষণ পর থেকেই ফোন আসতে থাকে একের পর এক। একবার সাংবাদিক সম্মেলন হওয়ার পরেই তো খবর ভারত ও ইউরোপে ছড়িয়ে পরে, আমার আর কিছু করার ছিল না। আমার ঘুমে ৪০ মিনিটের লম্বা বিরতি পড়ে গেল!”

  .  

অর্থনীতি বিজ্ঞানের (Nobel Prize for Economic Sciences) জন্য নোবেল পুরস্কার জেতার পরে অভিজিৎ বলেন যে এই জয়টি তাঁর কাছে বিশেষ, কারণ তিনি তাঁর সহকর্মী এবং স্ত্রী এথার ডাফ্লোর সঙ্গে মিলে এই সম্মান জিতেছেন। অভিজিৎ বলেন, “এমআইটিতে গবেষণা এবং কাজের মধ্যে এটি এক অর্থে একটি সম্পূর্ণ পারিবারিক উদ্যোগ বলা চলে। আর যখন তা নিজের সঙ্গীর সঙ্গে মিলে অর্জন করেন তখন তা আরও বেশি আনন্দদায়ক হয়ে ওঠে।"

নোবেল পুরস্কার পাওয়ায় NDTV কে প্রতিক্রিয়া অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মায়ের

Advertisement

অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্য বিমোচনে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ও সংস্থার করা কাজের প্রশংসাও করেন।

স্বামী অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মাইকেল ক্রেমারের সঙ্গে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন এস্টার ডাফ্লো

অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্বাস করেন, নোবেল পুরস্কার (Nobel Prize) “আমাদের মতো লোকদের জন্য নয়, বরং যারা সত্যিকারের কাজ করে” তাঁদেরই জন্য। অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যাদের সঙ্গে আমরা কাজ করি, যাদের জীবন নিয়ে আমরা বিভিন্ন উপায়ে কাজ করি, তাদের কাছে আমি সত্যিই ঋণী। এবং তাদের সাথে যারা কাজ করেন তাদের কাছেও। উদাহরণস্বরূপ, সেবা মন্দির এবং প্রথমের মতো সংস্থার কাছ থেকে আমরা প্রচুর পরিমাণে শিখেছি। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় এই সংস্থাগুলি খুব দরিদ্র মানুষদের সঙ্গে খুব বড় আকারে কাজ করে।”

ভারতীয়-আমেরিকান অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়, এস্থার ডাফ্লো এবং মাইকেল ক্রেমার যৌথভাবে ‘বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্য বিমোচনে পরীক্ষামূলক পদ্ধতির জন্য' সোমবার ২০১৯ সালের নোবেল অর্থনীতি পুরস্কার অর্জন করেছেন।

Advertisement

রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কংগ্রেসের প্রাক্তন প্রধান রাহুল গান্ধি, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালসহ রাজনৈতিক নেতারা অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে টুইটারে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

Advertisement