ভারতীয়-আমেরিকান অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়, এস্থার ডাফ্লো এবং মাইকেল ক্রেমার যৌথভাবে ২০১৯ সালের নোবেল অর্থনীতি পুরস্কার অর্জন করেছেন
নয়াদিল্লি: শহর কলকাতায় এখন গর্বের জয়ধ্বনি! হবে না'ই বা কেন? কলকাতা শহরেরই সন্তান অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhijit Banerjee) চলতি বছরের নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছেন অর্থনীতিতে। মুখচোরা অথচ চোখ ভরা দীপ্তি- অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহপাঠী এবং স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের চোখে এখনও এই ছবিটাই ভেসে রয়েছে। দক্ষিণ কলকাতার স্কুলের সেই অন্তর্মুখী ছাত্রই আজ এমআইটির অধ্যাপক (MIT professor), বিশ্বের গর্ব! সাউথ পয়েন্ট স্কুলে (South Point School) অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহপাঠী শর্মিলা দে বলেন, ১৯৭১ থেকে ১৯৭৮ সাউথ পয়েন্টের একই শ্রেণিকক্ষে পড়াশোনা করতেন তাঁরা, আজ সেই দিনগুলোর কথা ভেবে অত্যন্ত গর্ববোধ করছেন তিনি।
অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নোবেল প্রাপ্তিতে কী প্রতিক্রিয়া অর্মত্য সেনের
“অভিজিৎ অঙ্কের ক্লাসে যেভাবে সমস্যার সমাধান করত তা দেখে আমরা সবসময়ই অভিভূত হয়েছি। পুঁথিগত শিক্ষার বাইরে অভিজিৎ খেলাধুলায় বিশেষত ফুটবলে অত্যন্ত আগ্রহী ছিল,” শর্মিলা বলেন।
ভারতীয়-আমেরিকান অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়, এস্থার ডাফ্লো এবং মাইকেল ক্রেমার (Abhijit Banerjee, Esther Duflo and Michael Kremer) যৌথভাবে ‘বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্য বিমোচনে পরীক্ষামূলক পদ্ধতির জন্য' সোমবার ২০১৯ সালের নোবেল অর্থনীতি পুরস্কার (2019 Nobel Economics Prize) অর্জন করেছেন।
অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন বাঙালি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ ৩ অর্থনীতিবিদ
অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গণিত শিক্ষক দীপালি সেনগুপ্ত অভিজিতের ছাত্রাবস্থার দিনগুলির কথা স্মরণ করে বলেন, “ক্লাস ৮ এ ভীষণই অন্তর্মুখী, শান্ত ছেলে ছিল অভিজিৎ। ওকে ঠিক বোঝা যেত না। তবে যেভাবে ক্লাসে সমস্ত অঙ্ক সহজেই সমাধান করে ফেলত তা তাজ্জব করে দেওয়া মতোই।”
দীপালি বলেন, “ওই অল্প বয়সেই উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আভাস দেখিয়েছিল অভিজিৎ।” স্কুলের পরে কি আর যোগাযোগ রয়েছে নোবেল বিজয়ীর সঙ্গে? এ প্রশ্নের উত্তরে প্রবীণ শিক্ষিকা জানান, এখন আর যোগাযোগ নেই অভিজিতের সঙ্গে। “আমি আশা করি অভিজিৎ এখনও স্কুলে তাঁর গণিতের শিক্ষকের কথা মনে রেখেছে,” মৃদু হেসে বলেন শিক্ষিকা দীপালি সেনগুপ্ত।