২০১৫ সালে কলকাতা থেকেই ইডি গ্রেফতার করে গৌতম কুণ্ডুকে।
কলকাতা: রোজভ্যালি চিটফান্ড কেলেঙ্কারির (Rose Valley chitfund case) তদন্তের দায়িত্বে থাকা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি (ED) এবার ওই চিটফান্ড কেলেঙ্কারির জন্য সর্বস্বান্ত হয়ে যাওয়া আমানতকারীদের (Investors) উদ্দেশে তাঁদের নিজেদের অর্থ ফিরে পাওয়ার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের তৈরি করা অ্যাসেট ডিসপোজাল কমিটির দারস্থ হওয়ার জন্য আবেদন করল। ইডি জানিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে ২০১৫ সালে তৈরি হওয়া এই কমিটির দারস্থ হতে পারবেন সেই আমানতকারীরা, যাঁদের আমানত রাখা অর্থের বিনিময়ে আরও অনেক বেশি অর্থ ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে দাবি করেছিল রোজভ্যালি। সংবাসংস্থা পিটিআইকে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইডি কর্তা জানান, “এখনও পর্যন্ত রোজভ্যালি মামলায় ইডি মোট ৪,৬০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে”।
প্রসঙ্গত, রোজভ্যালি সংস্থার ২,৩০০ কোটি টাকার সম্পত্তি একবারে বাজেয়াপ্ত করে নিয়েছিল ইডি। তার মধ্যে ছিল এই সংস্থার অন্তত দু'ডজন হোটেল এবং রিসর্টও।
আরও পড়ুনঃ অভিনন্দনের ছবি ব্যবহার করায় নির্বাচন কমিশনের রোষের মুখে বিজেপি বিধায়ক
এই বিপুল সম্পত্তি প্রকাশ্যে নিলাম করা হবে। ওই নিলাম থেকে ওঠা সমস্ত অর্থ ফিরিয়ে দেওয়া হবে আমানতকারীদের।
অর্থ জালিয়াতি মামলায় ২০১৪ সালে রোজভ্যালি সংস্থা ও তার চেয়ারম্যান গৌতম কুণ্ডুর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে ইডি।
২০১৫ সালে কলকাতা থেকেই ইডি গ্রেফতার করে গৌতম কুণ্ডুকে। অভিযোগ, চিটফান্ডের কাজ চালানোর জন্য ২৭'টি সংস্থার নাম ব্যবহার করত রোজভ্যালি। যাদের মধ্যে মাত্র ছ'টি সংস্থার অস্তিত্ব ছিল।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)