Read in English
This Article is From Jul 17, 2019

আবার ইডির ডাক, ঘণ্টা দুয়েক জেরা কুণাল ঘোষকে

কুণালবাবু ছাড়াও ইডি সমন পাঠিয়েছে তৃণমূলের বর্তমান সাংসদ শতাব্দী রায়, ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কর্মী দেবব্রত সরকার ও অন্যান্যদের।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

প্রায় দু’ঘণ্টা প্রশ্নোত্তরের মুখোমুখি হন কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh) (ফাইল)

Highlights

  • ইডি দ্বিতীয় বারের জন্য জেরা করল বহিষ্কৃত তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষকে
  • তাঁকে প্রায় দু’ঘণ্টা জেরা করা হয়
  • ২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। পরে জামিন পেয়ে যান
কলকাতা:

বহু কোটির সারদা কেলেঙ্কারির (Saradha Chit Fund Scam) ব্যাপারে তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্স ডিরেক্টরেট বা ইডি (ED) বুধবার দ্বিতীয় বারের জন্য জেরা করল সাসপেন্ডেড তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) নেতা কুণাল ঘোষকে (Kunal Ghosh)। এদিন কুণালবাবু সিজিও কমপ্লেক্সে সংস্থার অফিসে গেলে তাঁকে প্রায় দু'ঘণ্টা জেরা করা হয়। ইডি সূত্রে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানানো হয়েছে, প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সারদার সংবাদমাধ্যমের হয়ে টাকা তুলতেন। ওই সূত্র জানাচ্ছে, ‘‘আমরা অনুসন্ধান করছি যে ফান্ড সারদা গ্রুপ থেকে কুণালবাবুর কাছে আসত সে ব্যাপারে। এবং অর্থ তছরুপের ব্যাপারটাও।'' ২০১৩ সালের অক্টোবরেও কুণাল ঘোষকে (Kunal Ghosh) এই মামলার জন্য জেরা করেছিল তদন্তকারী সংস্থা।

সারদা গ্রুপ দু'টি সংবাদপত্র প্রকাশ করত— বেঙ্গল পোস্ট ও সকালবেলা। ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে সারদা কেলেঙ্কারি সকলের সামনে আসার পরে সেই কাগজ দু'টি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

রাজীবের সঙ্গে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদে নৈতিক জয় দেখছে কুণাল

Advertisement

২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের বিশেষ তদন্তকারী দল কুণাল ঘোষকে (Kunal Ghosh) গ্রেফতার করেছিল। পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তদন্তের ভার গ্রহণ করে সিবিআই। ২০১৬ সালে কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) অন্তর্বর্তী জামিন পান।

কুণাল ঘোষ ছাড়াও ইডি শমন পাঠিয়েছে তৃণমূলের বর্তমান সাংসদ শতাব্দী রায়, দুই ব্যবসায়ী সজ্জন আগরওয়াল ও সন্ধির আগরওয়াল, ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কর্মী দেবব্রত সরকার এবং সারদা কেলেঙ্কারির মূল চক্রী সুদীপ্ত সেনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু অরিন্দম দাসকে।

Advertisement

এর আগে ফেব্রুয়ারিতে কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে সিবিআই শিলংয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময়  সেখানে উপস্থিত ছিলেন কুণাল ঘোষও(Kunal Ghosh)।

সারদা-কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই মামলার বিশেষ তদন্তকারী দলের প্রধান রাজীব কুমারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কুণাল।  সেই কারণেই দু'জনকে মুখোমুখি বসিয়ে  জিজ্ঞাসাবাদ করে  সিবিআই।  সেই জিজ্ঞাসাবাদের সময় কয়েকজন পুলিশ অফিসারের নাম উঠে আসে। কুণালের(Kunal Ghosh) দাবি ছিল, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন রাজীব। 

Advertisement

এই ঘটনায় নৈতিক জয় দেখেন কুণাল (Kunal Ghosh)। কলকাতা ফিরে এসে বিমানবন্দরে সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি বলেন, ‘‘যখন নিজের কথা বলতে চেয়েছিলাম তখন সেই সুযোগ রাজীব আমায় দেননি। আর আজ তাঁকেই আমার সঙ্গে মুখোমুখি বসতে হয়েছে। এটা  আমার নৈতিক জয়।''

Advertisement