ইডি ডেকে পাঠাল ছন্দা কোছর, দীপক কোছর এবং বেণুগোপাল ধুতকে।
মুম্বাই: আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের প্রাক্তন চিফ এক্সিকিউটিভ ছন্দা কোছর এবং তাঁর স্বামী দীপক কোছর ও ভিডিওকনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর বেণুগোপাল ধুতকে ঋণ সংক্রান্ত মামলার জন্য নিজেদের অফিসে ডেকে জেরা করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। জানিয়েছে সূত্র। এনফোরসমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি ছন্দা ও দীপক কোছরের বাড়ি ও অফিস এবং বেণুগোপাল ধুতের বাড়ি ও অফিসে অনুসন্ধান চালানোর পর দিনই তাঁদের ইডি-র তরফ থেকে নোটিস পাঠানো হয়। সূত্রের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত ৮''টা পর্যন্ত ছন্দা কোছর এবং দীপক কোছরের বাড়িতে অনুসন্ধান চালায় ইডি। তারপর ছন্দা কোছরকে ইডি-র মুম্বাইয়ের অফিসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শনিবার ভোর সাড়ে চারটে অবধি জিজ্ঞাসাবাদ চলে তাঁর। জানা গিয়েছে শুক্রবার রাত এগারোটা পর্যন্ত জেরা করা হয় বেণুগোপাল ধুতকে।
এর আগে সিবিআই ছন্দা কোছরের বিরুদ্ধে লুক-আউট নোটিস জারি করেছিল। তারপর তারা দীপক কোছর এবং বেণুগোপাল ধুতের বিরুদ্ধেও লুক-আউট নোটিস জারি করে। এই নোটিসের অর্থ হল, সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সংস্থা তাঁদের বিরুদেধে তদন্ত চালানোর সময় তাঁদের যাতায়াতের পরিসরটি একটি নির্দিষ্ট জায়গার মধ্যৈ আবদ্ধ হয়ে যাওয়া।
ওসামা বিন লাদেনের ছেলের নাগরিকত্ব বাতিল করে দিল সৌদি আরব
ভিডিওকনকে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে ঋণ দেওয়া নিয়েই এই মামলা। ওই সময় আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের নেতৃত্বে ছিলেন ছন্দা কোছর। এছাড়া, বেণুগোপাল ধুত ও দীপক কোছরের মধ্যে ছিল একটি ব্যবসায়িক সম্পর্ক।
অভিযোগ, বেণুগোপাল ধুত ৬৪ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন ন্যুপাওয়ার রিনিউবালস নামের একটি সংস্থায়। যে সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা-কর্ণধার দীপক কোছর। ভিডিওকনকে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে ২০০ কোটি ঋণ অনুমোদন করা হয়েছিল তার ঠিক একদিন আগে।
২০'টি ব্যাঙ্কের কনসর্টিয়াম থেকে মোট ৪০,০০০ কোটি টাকা ঋণ নেয় ভিডিওকন। যে ব্যাঙ্কগুলির কনসর্টিয়ামের নেতৃত্বে ছিল স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া।
গত বছরের অক্টোবরই আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ও ম্যানেজিং ডিরেক্টরের পদ থেকে সরে দাঁড়ান ৫৬ বছর বয়সী ছন্দা কোছর।