Read in English
This Article is From Jul 09, 2019

রোজভ্যালিকাণ্ডে অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে তলব করল ইডি

পশ্চিমবঙ্গ, অসম ও বিহারের আমানতকারীদের থেকে ১৭,৫২০ কোটি টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে রোজভ্যালি সংস্থার বিরুদ্ধে।

Advertisement
Kolkata

৯ জুলাইয়ের মধ্যে অভিনেতাকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।(ফাইল ছবি)

কলকাতা:

রোজভ্যালিকাণ্ডে অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠাল ইডি, ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে তাঁকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে তারা। সংবাদসংস্থা আইএএনএসকে এক ইডি আধিকারিক জানিয়েছেন, আর্থিক তছরুপ আইনে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে ইডি। ইডি আধিকারিকদের মতে, ২০১৩-এ গৌতম কুণ্ডু পরিচালিত রোজভ্যালি চিটফান্ডের তথ্য সামনে আসে। বিভিন্ন প্রকল্পে ২৭টি সংস্থা চলছিল রোজভ্যালি সংস্থার। পশ্চিমবঙ্গ, অসম ও বিহারের আমানতকারীদের থেকে ১৭,৫২০ কোটি টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে রোজভ্যালি সংস্থার বিরুদ্ধে। সংস্থার মালিক মালিক গৌতম কুণ্ডু এখনও পর্যন্ত তদন্তকারীদের হেফাজতে রয়েছেন।

রোজভ্যালিকাণ্ডে মদন মিত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির

এর আগে রোজভ্যালিকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছিল অভিনেতা-রাজনীতিবিদ তাপস পাল এবং তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁদের দুজনেই ওড়িশার ভুবনেশ্বরে রাখা হয়। সেখানেই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। পরে জামিন পান দুজনেই। যদিও তার আগে একাধিকবার “প্রভাবশালী” তত্ত্বে জামিন খারিজ হয়ে যায় দুজনেরই। ওড়িশার হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে গিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

আগাম জামিনের আবেদনে অতিরিক্ত সময় চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে রাজীব কুমার

সোমবার রোজভ্যালিকাণ্ডে তৃণমূল নেতা মদন মিত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, সূত্র মারফৎ এমনটাই জানা গিয়েছে। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে ইডি সূত্র জানিয়েছে, রোজভ্যালিকাণ্ডে এই প্রথমবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মদন মিত্রকে, এবং তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। চারঘন্টারও বেশী সময় ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি আধিকারিকরা। ২০১৪-এ সারদাকাণ্ডে, পরিবহনমন্ত্রী থাকাকালীন গ্রেফতার করা হয় মদন মিত্রকে। ২১ মাসেরও বেশী সময় জেলবন্দি থাকার পর জামিন পান তিনি।

Advertisement

সারদা মমালায় সিবিআইকে সিটের ‘বাধা', দুঃখজনক বিষয় মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের

সিবিআইয়ের সঙ্গে সঙ্গেই তদন্ত শুরু করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও। ইতিমধ্যেই রিসর্ট, হোটেল  এবং জমিসহ মোট ২,৩০০ কোটি টাকার সম্পত্তি অ্যাটাচ করেছে তারা। পাশাপাশি সোনার গয়না, নথি এবং একটি গনার শোরুমে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৪০ কোটি টাকার বহুমূল্যের পাথর উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

রোজভ্যালি কাণ্ডে লগ্নিকারীদের বেশী অঙ্কের ফেরৎ-এর টোপ দিয়ে আমানাতকারীদের থেকে সরাসরি টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছিল সংস্থার বিরুদ্ধে। যদিও কোনও টাকা পাননি আমানতকারীরা।
 



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
Advertisement