বাবাকে সঙ্গে নিয়ে নয়াদিল্লি থেকে দ্বারভাঙা পর্যন্ত ১,২০০ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফেরে জ্যোতি কুমারী
কলকাতা: আহত বাবাকে সঙ্গে নিয়ে নয়াদিল্লি থেকে দ্বারভাঙা পর্যন্ত ১,২০০ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফেরা বিহারের স্কুল ছাত্রী জ্যোতি কুমারীর ঘটনা এখন সারা দেশ জানে। লকডাউন শেষ হওয়ার পরেই সাইক্লিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার (CFI) পরীক্ষায় বসবে জ্যোতি। যদিও আপাতত স্কুল ফাইনাল পরীক্ষা ঠিকভাবে পাস করা জ্যোতির প্রাথমিক লক্ষ্য। জ্যোতির বাবা মোহন পাসওয়ান দ্বারভাঙার নিকটবর্তী সিরহুল্লি গ্রামের বাসিন্দা। মোহন পাসওয়ান পিটিআইকে বলেন, “লকডাউন উঠে যাওয়ার পরে আমরা অবশ্যই ওকে পরীক্ষার জন্য পাঠাব। গতকালই ও ক্লাস নাইনে ভর্তি হয়েছে। এই মুহূর্তে আমরা চাই যে জ্যোতি পড়াশোনাটা শেষ করুক, ম্যাট্রিক পাস করুক।"
দফায় দফায় বর্ধিত COVID-19 লকডাউনের কারণে, কাজ গিয়েছে মোহন পাসওয়ানের, নেই টাকা পয়সাও। এই বছরের গোড়ার দিকে একটি দুর্ঘটনার পরে তার বাম হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের পরে ঠিকভাবে হাঁটাচলা করতেও অক্ষম মোহন। এই অবস্থায় ১৫ বছর বয়সী জ্যোতিই বাবাকে গ্রামে নিয়ে আসতে উদ্যোগী হয়।
এই ঘটনাটি ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এক সপ্তাহ জুড়ে ১২০০ কিলোমিটারেরও বেশি সাইকেল চালানোর জ্যোতির অবিশ্বাস্য কীর্তির যথাযথভাবে নজরে আসে সাইক্লিং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার।
“হ্যাঁ আমরা নয়াদিল্লির সাইক্লিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার থেকে ফোন পেয়েছি। আমরা জানিয়েছি যে এখন ওর বিশ্রামের দরকার। আমরা দু-তিন মাস পরে বিষয়টা দেখব,” বলেন তিনি। জানুয়ারি মাসেই অটোরিকশা চালানোর সময় দুর্ঘটনায় পা ভেঙেছে পাসওয়ানের।
“আমরা অনেক পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ির উদ্দেশে হাঁটতে দেখেছি। তবে আমি ভালো করে হাঁটতে পারি না, তাই আমরা একটা সেকেন্ড হ্যান্ড সাইকেল কিনেছিলাম এবং ৭ মে আমাদের যাত্রা শুরু করি,” জানান পাসওয়ান।
নিজের গ্রামে স্কুলে পৌঁছতে নিয়মিত ৫ কিলোমিটার করে সাইকেল চালিয়ে যায় জ্যোতি। “জ্যোতি রাতের বেলাতেও দীর্ঘ সময় ধরে সাইকেল চালিয়েছে এবং আমরা উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ট্রাকে ও ট্রাক্টরেও সাইকেল নিয়ে চড়তে পেরেছিলাম,” তিনি বলেন।
দ্বারভাঙার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পৌঁছে গিয়েছিলেন জ্যোতির কাছে। জ্যোতিকে পিন্ডারুচ উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে ভর্তিও করিয়ে দেন তিনি। উচ্চ শিক্ষার জন্য এই ছাত্রীকে নতুন একটি সাইকেল, স্কুল ইউনিফর্ম এবং জুতোও দেওয়া হয়েছে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)