বাঁকুড়া ক্রিশ্চিয়ান কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী রীতা
রানিবাঁধ, পশ্চিমবঙ্গ: অটোগ্রাফ যারা দেন তাঁরা না হয় সেলিব্রেটি, কিন্তু অটোগ্রাফ যারা নেন, তাঁরাও কি?
অন্তত বাঁকুড়া ক্রিশ্চিয়ান কলেজের এই ছাত্রীটির ক্ষেত্রে এমনই ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রীর অটোগ্রাফ নেওয়ার পর থেকে তাঁর গ্রামে সে এবং তাঁর পরিবার প্রায় সেলিব্রেটি স্থানীয়, খ্যাতির বিড়ম্বনা এমনই যে আশে পাশের এলাকা থেকে তাঁর জন্য বিয়ের প্রস্তাবও এসেছে বেশ খানিক।
এই রাজ্যের মেদিনিপুরে প্রধানমন্ত্রী মোদির জনসভা চলাকালীন শামিয়ানার একটা বড় অংশ ভেঙে আহত হন দর্শক-শ্রোতাদের একটা বড় অংশ। পরিস্থিতি এমনই দাঁড়ায়, নিজের বক্তব্য স্থগিত রেখে নরেন্দ্র মোদি ছুটে যান হাসপাতালে যেখানে আহতদের নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই আলাপ হয় রীতা মুদি নামের এই ছাত্রীর সাথে, আহতদের মধ্যে সেও একজন।
তীব্র শারীরিক যন্ত্রণার মধ্যেও প্রধানমন্ত্রীকে এত কাছ থেকে দেখতে পেয়ে প্রচণ্ড খুশি হন রীতা। প্রধানমন্ত্রীর দিকে এগিয়ে দেন এক টুকরো কাগজ। মোদি তাতে লিখে দেন, ‘পরমাত্মা সুখী রাখে’ বা ‘ঈশ্বর তোমার মঙ্গল করুন’।
বিজেপির আইটি বিভাগের প্রধান আমিত মালব্য ট্যুইটারে একটি ছবি শেয়ার করেছেন সেখানে দেখা যাচ্ছে হাসপাতালে বিছানায় শুয়ে আছে রীতা। মালব্য লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা দেখুন। 19-বছর-বয়সী রিতা মুডি হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একটি অটোগ্রাফ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। রীতা কথা প্রায় বলতেই পারছিলেন না, মোদি তাঁকে যত্ন করে কাগজে সই করে দেন।
রাণিবাঁধ এলাকার এই পরিবারটি তাঁর পর থেকেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী রীতার জন্য বিবাহের প্রস্তাবও আসতে থাকে।
ঈশ্বর তোমার মঙ্গল করুন- কাগজে রীতাকে লিখে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
“প্রধানমন্ত্রীর অটোগ্রাফ পাওয়ার পর অনেক লোক আমাদের সঙ্গে সেলফি তুলতেও এসেছিল। তারা আমাদের বলে যে আমরা নাকি এখন সেলিব্রিটি হয়ে গেছি। আশেপাশের অনেক জেলা থেকে কিছু বিয়ের প্রস্তাবও এসেছিল। কিন্তু আমি সেসবকে একেবারেই গুরুত্ব দিচ্ছি না এখন। আগে পড়াশোনা শেষ করি তারপর বিয়ে নিয়ে ভাবা যাবে।“- বলেন রীতা।
সারদামনি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী তার বোন অনিতা মুদিও দিদির মতোই বিয়ের প্রস্তাব পেতে শুরু করেছেন। তবে আগে পড়াশোনা তারপর বিয়ে- একই বক্তব্য অনিতারও।