সোমবার জম্মু ও কাশ্মীরে শান্তিতেই মিটল ঈদ-আল-আধা
নয়াদিল্লি: .জম্মু ও কাশ্মীরে শান্তিতেই মিটল ঈদ-আল-আধা, শ্রীনগরে প্রার্থনার জন্য মসজিদে জমায়েত মানুষের ছবি এবং শহরের বিভিন্ন জায়গায় জমায়েতের ছবি শেয়ার করে জানাল সরকার। তবে শ্রীনগরে রাস্তাঘাট নিরাপত্তাকর্মীদের সজাগ দৃষ্টি থাকায় উৎসবের মেজাজ ছিল অন্যরকম। একটি বিবৃতিতে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, কাশ্মীর উপ্যতকার বিভিন্ন এলাকায় প্রার্থনার জন্য অসংখ্য মানুষের জমায়েত হয়েছিল, বারামুল্লায় ১০,০০০ এবং বান্দিপোরায় ৫,০০০ মানুষ প্রার্থনায় অংশ নেন। সোমবার সন্ধ্যায় শহরের পুলিশ আধিকারিক এসপি পানি বলেন, “দুটি স্থানীয় ঘটনা ঘটেছে” এবং সেগুলি “পেশাদারভাবেই সামাল দেওয়া হয়েছে”। দুটি আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে, তবে পুরো উপত্যকার পরিস্থতি স্বাভাবিক”।
সংবাদমাধ্যমের একাংশ বড় বিক্ষোভের খবর দিলেও, আবারও তা অস্বীকার করেছে রাজ্য প্রশাসন। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, “নিরাপত্তারক্ষীরা একটা গুলিও চালাননি”।
সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, পাঁচ জেলা থেকে পুরোপুরিভাবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং তা শুধু রাতে রয়েছে (পিটিআই)
রাজ্যের প্রিন্সিপল সেক্রেটারি রোহিত কানসাল বলেন, “নিরাপত্তারক্ষীদের গুলি চালানো এবং মৃত্যুর খবর রয়েছে সংবাদমাধ্যমে...বিস্তারিতভাবে জানিয়েছে পুলিশ এবং জম্মু ও কাশ্মীরে গুলি চালানোর ঘটনা, আমি আবারও বলতে চাই, এবং নির্দিষ্টভাবে অস্বীকার করছি,”।
জম্মু কাশ্মীর থেকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা প্রত্যাহার এবং রাজ্যটিকে ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা নিয়ে সরকারের পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে ৪ অগস্ট থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে বনধ চলছে। রাস্তায় মোতায়েন করা হয়েছে প্রায় ৪,০০০ এরও বেশী নিরাপত্তাকর্মী এবং ফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। তারপর থেকেই, বন্দি রাখা করা হয়েছে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ও ওমর আব্দুল্লাকে।
সরকারের তরফে বলা হয়েছে, পাঁচ জেলা থেকে নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরিই প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে এবং শুধুমাত্র রাতের জন্য তা সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “কাশ্মীরের অন্য ৯টি জেলায় স্থানীয় মূল্যায়নের ভিত্তিতে বিভিন্নরকম স্থানীয় বিষয়ে ছাড় দেওয়া হয়েছে”।
জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে শুক্রবার তাঁর ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আশ্বাস দেন, ঈদ উদযাপনে কোনও সমস্যায় পড়বেন না সাধারণ মানুষ এবং ধীরে ধীরে সেখানকার পরিস্থিতি শান্ত হবে।
পরিস্থিতির উন্নতি হলেই, জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা ফিরে আসবে।
সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লা তথা ন্যাশনাল কনফারেন্স ।
কেন্দ্রের পদক্ষেপকে “অবৈধ” বলে মন্তব্য করেছে তারা।