This Article is From May 25, 2020

ঈদের দিনে জামা মসজিদে ধড়া পড়ল অন্য ছবি

Eid-ul-Fitr 2020: জামা মসজিদের ছবি টুইট করেন এক চিত্রশিল্পী, সকাল ৭.৩০টা নাগাদ ছবিটি তোলা হয়, উৎসবের দিনে জায়গাটিতে ভিড় জমে ধর্মালম্বীদের

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

Eid-Al-Fitr 2020:লকডাউনের কারণে ঈদের দিনেও দিল্লির জামা মসজিদ ছিল ফাঁকা

নয়াদিল্লি:

করোনা ভাইরাস লকডাউনের (Coronavirus Lockdown) দিনে দেশজুড়ে পালিত হল ঈদ-উল-ফিতর (Eid-UL-Fitr)। লকডাউনের কারণে এদিনও ধর্মীয় প্রার্থনাস্থলগুলি ছিল বন্ধ, ফলে বাড়িতেই ঈদের নমাজ পাঠে অংশ নেন মুসলিম ধর্মালম্বীরা। জামা মসজিদের ছবি টুইট করেন এক চিত্রশিল্পী, সকাল ৭.৩০টা নাগাদ ছবিটি তোলা হয়, উৎসবের দিনে জায়গাটিতে ভিড় জমে ধর্মালম্বীদের। চিত্র নির্মাতা বলে নিজেকে দাবি করা সোয়েব ইলিয়াস নিজের টুইটারে বায়োতে জামা মসজিদের ছবি দেন, সেখানে শুধুমাত্র শাহি ইমাম এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের নমাজে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। সোয়েব ইলিয়াস টুইটে লেখেন, “সবাইকে ঈদ মোবারক। একটি ঐতিহাসিক মুহুর্ত। এটি আজ সকাল ৭.৩০টার ছবি, সেই সময় জামা মসজিদে নমাজ পাঠ হয়। দেখা গিয়েছে মসজিদ ফাঁকা ছিল। মসজিদে শুধুমাত্র শাহি ইমাম ও তাঁর পরিবার নমাজে অংশ নেন”।

মধ্য দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, ঈদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছিল এবং জমায়েত করতে নিষেধ করা হয়।

পদস্থ পুলিশ আধিকারিক সঞ্জয় ভাটিয়াকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, “মানুষকে ঘরে থাকতে এবং সেখানেই নমাজ পাঠ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। গতকাল থেকে আমরা এই আবেদন জানিয়েছি এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষকে আবেদন করেছি। শুধুমাত্র জরুরি প্রয়োজনেই মানুষ বাইরে এসেছেন। আমরা আশাবাদী যে, মানুষ ঘরেই থাকবে এবং সেখানেই নমাজ পড়বে”।  

২০১৯ ঈদে জামা মসজিদের চিত্র 

দিল্লির জামা মসজিদের শাহি ইমাম সৈয়দ আহমেদ বুখারি জানান, প্রার্থনার জন্য উপস্থিত ছিলেন ১৫ থেকে ১৬ জন। সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, শাহি ইমাম বলেন, “মানুষ বাড়িতেই ছিল এবং রমজানের সময় বাড়িতেই ছিল”।

Advertisement

ঈদের বার্তায় শাহি ইমাম বলেন, “প্রয়োজনে মানুষকে সাহায্য করতে হবে, কেউ আক্রান্ত হলেও। সামাজিক দূরত্ব বিধির মতো নিয়ম মেনে চলেই ভাইরাসকে পরাজিত করা সম্ভব”।

জামা মসজিদ ছাড়াও, ফতেপুর মসজিদেও ছিলেন শুধুমাত্র ধর্মগুরু ও মসজিদের অন্যান্য সদস্যরা।

Advertisement

ফতেপুর মসজিদের শাহি ইমাম মুফতি মুক্কারাম আহমেদ বলেন, ঈদ পালনের সময় মানুষকে সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলার আবেদন জানানো হয়েছে এবং আলিঙ্গন ও করমর্দন এড়িয়ে চলতে বলা হয়।

Advertisement