প্রাক বর্ষা মরসুমে বৃষ্টি খুবই কম পরিমাণে হয়েছে
নিউ দিল্লি: গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণ ১৫টির (Most Hottest Places Of World) জায়গার মধ্যে আটটি ভারতের। বাকি সাতটি পাকিস্তানের। আবহাওয়া সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কাজ করে চলা এল ডোরাডো (El Dorado) নিজেদের ওয়েবসাইটে এই কথাই জানিয়েছে। রাজস্থানের (Rajasthan) চুরুতে (Churu) সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৮.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটাই উষ্ণতম জায়গা। পরিস্থিতি প্রতিকূল হওয়ায় চুরুতে তাপপ্রবাহের সর্তকতা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি সমস্ত সরকারি হাসপাতালকে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। অতি তীব্র গরমের কারণে কেউ যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে এসে যাতে চিকিৎসা করা যায় সে কারণে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। চুরু জেলার অতিরিক্ত জেলা শাসক রামরতন সোনকারিয়া জানিয়েছেন সরকারি হাসপাতাল গুলিকে তৈরি থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্য ব্যবস্থাও নিয়ে রাখা হয়েছে। জেলার বিভিন্ন রাস্তায় প্রশাসনের তরফে জল ঢালার কাজ চলছে। রাজস্থানের শিকার জেলায় রবিবার হিটস্ট্রোকের কারণে এক কৃষকের মৃত্যুও হয়েছে বলে খবর। রাজস্থানের পাশাপাশি রাজধানী দিল্লির তাপমাত্রাও যথেষ্ট বেশি। আজ দিল্লির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অবস্থা এতটাই সঙ্গীন যে জোমাটোর তরফে গ্রাহকদের অনুরোধ করা হয়েছে খাবার পৌঁছতে যাওয়া ব্যক্তিদের এক গ্লাস জল ঠান্ডা জল দেন। রাজস্থান এবং দিল্লি ছাড়া মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গাতেও তাপ প্রবাহের সর্তকতা জারি হয়েছে।
এরই মধ্যে বর্ষার আগমন নিয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তির সংবাদ শুনিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। গত সপ্তাহেই আবহাওয়া দফতরের তরফে বলা হয়েছিল এ মাসের ৬ তারিখের মধ্যে কেরালায় বর্ষা ঢুকে যাবে। দেশে বর্ষা রেখা প্রবেশ করলে দ্রুত তা অন্যত্র ছড়াতে থাকে। তবে বহু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে দেশে প্রবেশ করার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বর্ষা গতি হারায়। সে ক্ষেত্রে অন্যান্য রাজ্যে বৃষ্টি হতে বেশ কিছুটা সময় লেগে যায়। গরমের প্রকোপ সেসময় যথেষ্টই বেশি থাকে।
বার বর্ষা মরসুমে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের কথা বলা হলেও প্রাক বর্ষা মরসুমে বৃষ্টি খুবই কম পরিমাণে হয়েছে। মার্চ মাসের ১ তারিখ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত সময়টাকে বলা হয় প্রাক বর্ষা মরসুম। সে সময় এবার যা বৃষ্টি হয়েছে তা গত ৬৫ বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। তবে আবহাওয়া দপ্তর আশা করছে একবার বর্ষারেখা দেশে প্রবেশ করে গেলে তা সক্রিয় হয়ে উঠবে এবং দেশে এবছর স্বাভাবিক পরিমাণে বৃষ্টি হবে।
শুধু অস্বস্তির কমে যাওয়ার কারণে নয় ভারতের মতো দেশের ক্ষেত্রে কৃষিকাজ স্বাভাবিকভাবে করার ক্ষেত্রেও বৃষ্টির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।