This Article is From May 13, 2019

অমিত শাহের সভার অনুমতি “মেলেনি”, তরজায় তৃণমূল-বিজেপি

Election 2019: আগামী রবিবার কলকাতা উত্তর, দক্ষিণ, যাদবপুর সহ রাজ্যের মোট ৯ আসনে ভোটগ্রহণ।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া
নিউ দিল্লি :

যাদবপুরে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের সভার অনুমতি দেয় নি রাজ্য প্রশাসন, তারই প্রতিবাদ কর্মসূচী নিতে চলেছে বিজেপি। পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনেরও দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে গেরুয়া শিবির।লোকসভা নির্বাচনের ষষ্ঠ  দফার ভোট সম্পন্ন হয়েছে এ রাজ্যে। আগামী রবিবার কলকাতা উত্তর, দক্ষিণ, যাদবপুর সহ রাজ্যের মোট ৯ আসনে ভোটগ্রহণ। যাদবপুরে এবার বিজেপি প্রার্থী গতবার তৃণমূলের টিকিটে বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অনুপম হাজরা। তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রার্থী অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী, অন্যদিকে এখানে প্রবীণ সিপিআইএম নেতা তথা কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে প্রার্থী করেছে বামেরা।

বাংলায় দাঁড়িয়ে জয় শ্রী রাম বলছি,ক্ষমতা থাকলে গ্রেফতার করুন, মমতাকে চ্যালেঞ্জ অমিতের

যাদবপুর কেন্দ্রের প্রার্থী অনুপম হাজরার সমর্থনে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহকে এনে সভা করানোর পরিকল্পনা করেছিল বিজেপি। তবে তাঁর চপার নামা এবং সভা করার তার অনুমতি না মেলায় সোমবার অমিত শাহের সভা বাতিল হয়ে যায়। আর তাতেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে গেরুয়া শিবির। তাদের অভিযোগ, “গণতন্ত্রকে সরিয়ে স্বৈরাচারীতা” নিয়ে এসেছে রাজ্য সরকার।

Advertisement

মমতার ছবি বিকৃত করার অভিযোগে গ্রেফতার বিজেপি সমর্থক, সুপ্রিম কোর্টে মামলা করল পরিবার

যাদবপুরে অমিত শাহের সভার অনুমতি না মেলা এবং তার ফলে সবা বাতিল হয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে সরব হয়েছে কেন্দ্রের শাসকদল। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচীর পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে গেরুয়া শিবির।  একইসঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে নীরব দর্শক বলেও তোপ দেগেছে বিজেপি।দলের মিডিয়া সেলের প্রধান এবং রাজ্যসভার সাংসদ অনিল বালুনি বলেন, “এটা দুর্ভাগ্যজনক যে, এই সমস্ত বিষয়গুলি এবং রাজ্য সরকারের হিংসার নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে নির্বাচন কমিশন”। তৃণমূলকে আক্রমণ করতে তৃণমূল কংগ্রেস অগণতান্ত্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

Advertisement

আরএসএস, বিজেপির লোকদের কেন্দ্রীয় বাহিনীর ছদ্মবেশে রাজ্যে পাঠানো হচ্ছেঃমমতা

দলের অপর নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীর অভিযোগ, পূর্ত দফতরের অনুমতির অপেক্ষার যুক্তি দেখিয়ে অমিত শাহের চপার অনুমতি দিতে অথথা দেরী করেছে জেলা প্রশাসন। তার কথায়, “তৃণমূল কর্মীদের মতো আচরণ করছে জেলা প্রশাসন। প্রথমে তারা শাহের চপার নামার অনুমতি দেয় নি।পরে সভারও অনুমতি দেওয়া হয় নি। এটা শুধুমাত্র অগণতান্ত্রিকই নয়, এটা তৃণমূলের স্বৈরাচারী মানসিকতার প্রকাশ”। নয়াদিল্লিতে দলের অন্যতম নেতা প্রকাশ জাভরেকড় বলেন, “এটা গণতন্ত্রের হত্যা। নির্বাচন কমিশনের বিষয়টি দেখা উচিত। গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের যদি সভা করতে না দেওয়া হয়, তাহলে নির্বাচনের নামে কী”?

Advertisement

বারুপুরে যে জমিতে অমিত শাহের চপার নামার কথা ছিল, সেই জমির মালিক পরে নামতে দিতে অস্বীকার করে। তা নিয়ে বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের থেকে চাপ দেওয়ার জন্যই চপার নামার অনুমতি দেন নি জমির মালিক। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, “অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।এটাতে আমাদের কিছুই করার নেই। ভয় পেয়ে তারা নিজেরাই সভা বাতিল করেছে এবং সভাটি একটি ফ্লপ শো হতে চলেছে”।

Advertisement