কংগ্রেস ঘনিষ্ঠতা এড়িয়ে গেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মায়াবতী
নিউ দিল্লি: ভোট শেষ হওয়ার পরেই দিল্লিতে বিরোধী নেতাদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছে কংগ্রেস। তবে সেই বৈঠকে না থাকার সম্ভাবনা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মায়াবতী, সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবের। সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে কলকাতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং চন্দ্রবাবুর বৈঠক হয়। সেখানেই বিরোধী বৈঠক নিয় কথা উঠলে, নেতিবাচক উত্তর দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, চন্দ্রবাবু নাইডুকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ২৩ মে ফলাফলের আগে বৈঠকের কোনও প্রয়োজন নেই। মায়াবতীও নেতিবাচক উত্তরই দিয়েছেন। সূত্রের খবর, পুরো বিষয়টিই রয়েছে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়েই। বিরোধীদের গলায় যদি জয়মালা ওঠে, তাহলে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়েই সংশয়। সেই প্রশ্নে বারবার উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন বিরোধী নেতারা, সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মায়াবতী প্রধানমন্ত্রী হতে চান।
এদিকে, ডিএমকে প্রধান স্ট্যালিন সহ বিরোধীদের অনেক নেতাই আবার প্রধানমন্ত্রী পদে রাহুল গান্ধীর নাম সমর্থন করেছেন।
উত্তরপ্রদেশে জাতীয়স্তরে সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোট গড়ে ভোটের ময়দানে নেমেছেন বহুজন সমাজ পার্টি নেত্রী মায়াবতী। তবে কংগ্রেসকে জোটের বাইরেই রেখেছেন অখিলেশ-মায়া। বিএসপি সুপ্রিমো এবং তৃণমূলনেত্রী, দু'জনেই কংগ্রেসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা এড়িয়ে চলেছেন।
কংগ্রেস সম্পর্কে নিজের অবজ্ঞা চেপে গোপন করেন নি মায়াবতী। উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসকে মহাজোটের বাইরে রাখাই নয়, মধ্যপ্রদেশে কমল নাথের নেতৃত্বাধীন সংখ্যালঘু সরকার ফেলে দেওয়ারও হুমকি দিয়েছেন বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতী।
আলোয়ারের গণধর্ষণের ঘটনায় রাজস্থানের অশোক গেহলতের সরকারের বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছেনন মায়াবতী। তিনি বলেন, “কংগ্রেস, পুলিশ এবং রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন জানাচ্ছি”।
গত সপ্তাহে জাতীয়স্তরে নিজের লক্ষ্য নিয়ে ইঙ্গিত দিয়ে মায়াবতী বলেন, “সবকিছু ঠিক থাকলে” উত্তরপ্রদেশের আম্বেদকরনগর থেকে লোকসভা ভোট “লড়তে পারেন” তিনি।
তবে দেশের শীর্ষপদে তাঁর উচ্চাকাঙ্খা নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেন নি তৃণমূলনেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে দলের নেতারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়া নিয়ে মন্তব্য করেছেন।
বাংলায় প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “৪০,২০, ২৫ আসনে লড়াই করে তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার। সবাই প্রস্তত হয়ে গেছে”।
বারবার আক্রমণ করার পরেও মায়াবতীকে জাতীয় প্রতীক বলে মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। NDTV কে দেওয়া সাক্ষাৎকার রাহুল গান্ধী বলেন, “আমি তাঁকে সম্মান করি, ভালবাসি। নিশ্চয় আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক লড়াই আছে, কিন্তু দেশে অবদানের জন্য আমি তাঁকে সম্মান করি”।
তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করেন নি রাহুল গান্ধী।
অকংগ্রেসি অবিজেপি সরকার এবং দক্ষিণের রাজ্য থেকে কাউকে প্রধানমন্ত্রী করতে চান তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী তথা তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাও।তাঁর সঙ্গেও যোগাযোগ রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।