আই এ এস অফিসার অজয় নায়ককে বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করল নির্বাচন কমিশন।
হাইলাইটস
- রাজ্যের জন্য বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করলো নির্বাচন কমিশন
- আইএএস অফিসার অজয় নায়ককে বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয়
- এর আগে রাজ্যে বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছিল কমিশন
কলকাতা: দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের আগে রাজ্যের জন্য বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করল নির্বাচন কমিশন। কাল বৃহস্পতিবার রাজ্যের তিনটি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। তার আগে সোমবার ১৯৮৪ ব্যাচের আই এ এস অফিসার অজয় নায়েককে বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করল নির্বাচন কমিশন। এর আগে রাজ্যে বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছিল কমিশন। প্রথমে যিনি এই পদে এসেছিলেন তাঁকে নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়। তৃণমূলের তরফে ওই আধিকারিকের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়, পাশাপাশি সিপিএম থেকে শুরু করে অন্য দলগুলিও প্রতিবাদ করে। শেষমেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বদলে দেওয়া হয়। নতুন পুলিশ পর্যবেক্ষক হন বিবেক দুবে।
এদিকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজ্যের কয়কেটি লোকসভা কেন্দ্রের ভোট প্রস্তুতি খতিয়ে দেখল নির্বাচন কমিশন। এ রাজ্য ছাড়া ত্রিপুরা পূর্ব কেন্দ্রের নির্বাচনী প্রস্তুতিও খতিয়ে দেখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গোটা দেশের সঙ্গে এ রাজ্যের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রেও ভোট হবে ১৮ এপ্রিল। তাই এই তিনটি কেন্দ্র নির্বাচনের জন্য কতটা তৈরি তা খতিয়ে দেখেছে কমিশন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরা থেকে শুরু করে আরও কয়েকজন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তাছাড়া রাজ্যে কমিশনের আধিকারিক থেকে শুরু করে পুলিশ কর্তারাও অংশ নেন বৈঠকে।
১৮ তারিখ দ্বিতীয় দফার ভোট মেটার চার দিন পর ২৩ তারিখ তৃতীয় দফার ভোট। সেদিন এ রাজ্যের যে সমস্ত কেন্দ্রে ভোট হবে সেখানকার প্রস্তুতিও খতিয়ে দেখেছে কমিশন। লোকসভা ভোটের মতো বড় নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয় অনেক দিন আগে। নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা প্রতিটি রাজ্য ঘুরে দেখে ভোটের দিন ঠিক করেন। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেমন আছে তা দেখে নিয়ে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়। এরপর ভোট পর্ব শুরু হয়ে গেলে দিল্লি থেকে ভিডিওকনাফারেন্স করে প্রস্তুতি খতিয়ে দেখা হয়। এদিন সে মতোই ভোট গ্রহণ কেন্দ্র গুলিতে কী ধরনের সুবিধা আছে তা জেনে নেন কমিশনের আধিকারিকরা। পুলিশ আধিকারিকরাও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে তথ্য দিয়েছেন বলে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে। কোন কেন্দ্রের কোথায় কত পরিমাণ বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে সেটিও জানিয়ে দেওয়া হয়।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)