Read in English
This Article is From Apr 08, 2019

নির্বাচন কমিশন জানাল, ভোটে প্রতি বিধানসভায় বেশি করে রাখা হবে ভিভিপ্যাট

ইভিএম নিয়ে বিরোধীদের তোলার একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগের জন্য এর আগেই নির্বাচন কমিশন আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ভিভিপ্যাট প্রযুক্তি ব্যবহারের আশ্বাস দিয়েছিল।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

একটি বিধানসভা কেন্দ্রে সর্বোচ্চ পাঁচটি ভিভিপ্যাট মেশিন রাখা যেতে পারে।

নিউ দিল্লি:

নির্বাচন কমিশন (Election Commission) সোমবার জানিয়ে দিল, আরও বেশি করে ভোটার ভেরিফায়েড পেপার অডিট ট্রেইলিং বা ভিভিপ্যাট (VVPAT) মেশিন প্রযুক্তি থাকবে এবারের লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha election 2019)। ইভিএম নিয়ে বিরোধীদের তোলার একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগের জন্য এর আগেই নির্বাচন কমিশন আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ভিভিপ্যাট প্রযুক্তি ব্যবহারের আশ্বাস দিয়েছিল। ঘটনাচক্রে, সুপ্রিম কোর্ট সোমবারই এই নির্দেশ জারি করল যে, আগামী বৃহস্পতিবার শুরু হতে চলা লোকসভা নির্বাচন যতটা সম্ভব নিখুঁতভাবে সম্পন্ন করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে রাখা মোট ভিভিপ্যাটের পঞ্চাশ শতাংশের গণনা করতেও পাঁচদিন সময় লেগে যাবে। যদিও, শীর্ষ আদালতের রায় অনুযায়ী, একটি বিধানসভা কেন্দ্রে সর্বোচ্চ পাঁচটি ভিভিপ্যাট মেশিন রাখা যেতে পারে। তা ফলে গণনায় কয়েকঘন্টার বেশি দেরি হওয়ার কথা নয়।

কেউ না থাকলে আমায় বলতেন, ধার দিয়ে দিতাম,বিজেপির প্রার্থী নিয়ে কটাক্ষ মমতার

নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, "সুপ্রিম কোর্টের রায় যাতে অবিলম্বে কার্যকর করা যায়, তার জন্য আমরা নিজেদের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করছি।

Advertisement

প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে অন্তত ৫০ শতাংশ ভিভিপ্যাট মেশিন বাড়ানোর আর্জি জানিয়ে ২১ জন বিরোধী দলনেতা পিটিশন জমা দিলে তার ভিত্তিতেই রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। 

নির্বাচন কমিশন জানায়, ৪৭৯'টি বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে করা ইন্ডিয়ান স্ট্যাস্টিটিক্যাল ইনস্টিটিউটের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী,  ভিভিপ্যাটের ব্যবহারের ফলে নির্বাচন প্রক্রিয়া ৯৯.৯৯ শতাংশ নিখুঁত হয়ে উঠবে।

Advertisement

অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশন এই কথাও জানায় যে, ভিভিপ্যাট গণনার জন্য মোটামুটি একটি দলে তিনজন করে অফিসারের থাকা প্রয়োজন। আর, প্রতিটি বিধানসভায় ৫০ শতাংশ ভিভিপ্যাট থাকলেও গণনাকার্য সম্পন্ন হতে আরও পাছ-ছ'দিন বেশি সময় লাগতে পারে। তারপরই এই রায় দেয় শীর্ষ আদালত।

Advertisement