কাল সকাল ১১টায় কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক।
হাইলাইটস
- Rahul Gandhi expected to offer resignation at Congress meet
- 2 senior leaders, including Raj Babbar, sent resignation to Rahul Gandhi
- Rahul Gandhi said he took "100 per cent responsibility" for the defeat
নিউ দিল্লি:
২০১৪ সালের পর ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনেও পরাজিত হল কংগ্রেস। এবারও পারলেন না রাহুল গান্ধী। প্রয়োজনীয় সংখ্যা না থাকায় আগের পাঁচ বছর কংগ্রেস বিরোধী দলনেতার পদ দাবি করতে পারিনি। এবারও পরিস্থিতি সেদিকেই যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। গতবার সভাপতি না হলেও নির্বাচনে কংগ্রেসকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন রাহুল। আর এবার সভাপতি হিসেবে তিনি-ই দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। দল সাফল্য পায়নি। নিজের ‘কর্মভূমি’ অমেঠীতে পরাজিত হয়েছেন তিনি। কাজে আসেনি তাঁর চৌকিদার চোর হ্যায় স্লোগান। এমতাবস্থায় কাল শনিবার বৈঠকে বসছে কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটি। সেখানেই পদত্যাগ করতে পারেন রাহুল।
জেনে নন ১০ টি তথ্য
কাল সকাল ১১টায় কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক। সেখানে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং থেকে শুরু করে ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী উপস্থিত থাকতে চলেছেন।
বৈঠকের আগেই কংগ্রেসে ‘পদত্যাগ – পর্ব' শুরু হয়েছে। সকালেই নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি রাজ বব্বর। দলের সভাপতিকে চিঠি লিখে নিজের ইস্তফার কথা জানান রাজ। লোকসভা নির্বাচনের আগে তাঁকে প্রদেশ সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু নির্বাচনে দেশের সবচেয়ে বড় রাজ্যে ভরাডুবি হয় কংগ্রেসের।
এই নির্বাচনে নিজের দেড় দশকের সংসদীয় এলাকা অমেঠীতে পরাজিত হয়েছেন রাহুল। এই অমেঠী বরাবর গান্ধী পরিবারকে সমর্থন দিয়ে এসেছে। তবে এবার পারলেন না রাহুল।
ভোটের সম্পূর্ণ ফল প্রকাশিত হওয়ার আগেই হারের জন্য দায় নেন রাহুল। সাংবাদিকরা তাঁর কাছে জানতে চান তিনি কি পদ ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন? উত্তরে রাহুল বলেন সেটা তিনি কার্যনির্বাহী কমিটিকেই জানাবেন।
২০১৪ সালের ভোটের সময় কংগ্রেস সভাপতি ছিলেন সোনিয়া, রাহুল ছিলেন সহ সভাপতি। পদ ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন দুজনেই। সেবার ৪৪ টি আসন পেয়েছিল কংগ্রেস।
নেহরু –গান্ধী পরিবাররে প্রতি সদা অনুগত কংগ্রেস দুজনকেই পদে থেকে যেতে অনুরোধ করে। তবে এবার নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভ কিছুটা বেশি।
ইতিমধ্যেই রাজস্থানের এক কংগ্রেস নেতা বলেছেন, কিছু পরিবর্তনের ইচ্ছা থাকলে নেতৃত্বেই বদল আনা দরকার।
শুধু তাই নয় নেহরু- গান্ধী পরিবারের নেতৃত্ব নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।
২০১৪ সালের মে মাসে রাহুল বলেন, দলের সহ-সভাপতি হিসেবে এই হারের দায় আমার। আমি পদত্যাগ করতে চাই। কিন্তু সেটা হয়নি। পরে তিনি সভাপতির দায়িত্ব নেন। এবারও পারল না কংগ্রেস।
পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পর জাতীয় সুরক্ষার উপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের নিরাপত্তাকে নির্বাচনের অন্যতম ইস্যু করে বিজেপি। কংগ্রেস সেটার মোকাবিলা করতে পারেনি বলেই মনে করে রাজনৈতিক মহল।
Post a comment