ভারতে মোদী ঢেউ। বিজেপির ক্ষমতায় ফিরে আসার রাস্তা প্রায় তৈরি। ২৯৫ টি আসনে ইতিমধ্যেই এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। অনেক পিছিয়ে ৫০টি আসনে এগিয়ে কংগ্রেস। নির্বাচন কমিশন ৫৪২ টি আসনে এ বার ভোট নেওয়া হয়েছিল।
বিজেপির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স ৫৪৩-সদস্যের লোকসভায় ৩৪৩ টি আসন জিতেছিল। গত নির্বাচনে এনডিএর ৩৩৬ টি আসন এবং বিজেপির ২৮২ টি আসন ছিল।
উত্তরপ্রদেশের বিতর্কীত রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে যেখানে সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজ পার্টি কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে ফেলার কথা ছিল বিজেপিকে সেখানে বিজেপি ৮০ টি আসনের মধ্যো ৫৮ টি আসনে নেতৃত্ব দিচ্ছে। ৮ টিতে এসপি এবং ১১টিতে বিএসপি এগিয়ে রয়েছে। কংগ্রেস পার্টি একটিমাত্র আসনে এগিয়ে ছিল। এমনকি কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধীর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে বিজেপি'র স্মৃতি ইরানীর সঙ্গে আমেঠিতে।
এই ফলাফল প্রমান করে দিচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তা কতটা। গত পাঁচ বছরে তাঁর সরকারের সাফল্য এবং তার প্রচার যা জাতীয় নিরাপত্তা এবং জাতীয়তাবাদকে কেন্দ্র করে বেড়ে উঠেছে। কংগ্রেসের সঙ্গে বার বার দোষারোপ পাল্টা দোষারোপের পালা চলেছে।
মোদিরাজ যে কেবল হিন্দিবলয় ও গুজরাটের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে তা নয়। প্রত্যাশিত অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, মহারাষ্ট্র এবং কর্ণাটকের মাধ্যমেও তা প্রমান হয়েছে। শুধু কেরালা, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলঙ্গানা অধরা রয়ে গিয়েছে।
ওড়িশায় বিজেপি ২১টি নয়টি আসনে এগিয়ে ছিল এবং বিজু জনতা দল এগিয়ে ছিল ১১টিতে। ২০১৪ সালে, বিজেডি ২০টি আসনে জয়ী হয়েছিল এবং বিজেপি একটিতে। তেলেঙ্গানাতে, তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি ন'টি আসন, চারটি বিজেপি এবং তিনটিতে কংগ্রেস এগিয়ে ছিল। বিজেপির জোট জনতা দল (ইউনাইটেড) ১৬ আসনে এগিয়ে ছিল।
বৃহস্পতিবার সাত পর্যায়ের সংসদীয় নির্বাচনের ভোট গণনা করা হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেস দল পশ্চিমবঙ্গের ৪২ টির মধ্যে ২৫ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। বিজেপি ১৫টি আসনে এগিয়ে। ২০১৪ সালের যা ছিল দু'টি। বাম কোনও লড়াইয়েই নেই বাংলায়।
তামিলনাড়ুতে ২০ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে ডিএমকে।
প্রবণতা বলে, মোদি আবারও প্রধানমন্ত্রীর পদে দিকে ভীষণভাবে এগিয়ে রয়েছেন। দেশ জুড়ে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে ড্রামস, সঙ্গীতের সঙ্গে ইতিমধ্যেই উৎসব পালন শুরু হয়ে গিয়েছে।
২০১৪ সালে বিজেপি ২8২ টি আসন জিতেছিল। ২০০৯ সালে ২০৬ টি আসনে পরাজিত হয়ে কংগ্রেসের সর্বকালের সর্বনিম্ন ৪৪ টি আসনে জয়ের মুখ দেখতে হয়েছিল।
৪০০০ এরও বেশি কেন্দ্রে গণনাঘিরে কারচুপির অভিযোগ তুলছেন বিরোধীরা। তারা নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থও হয়েছে যাতে গননায় স্বচ্ছ্বতা থাকে। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নির্বাচনের সম্পূর্ণ ফলাফল সন্ধ্যার মধ্যে চলে আসবে।
১১ এপ্রিল থেকে ১৯ মে-এর মধ্যে প্রায় ৯০০ মিলিয়ন মানুষের মধ্যে ৬৭ শতাংশ মানুষ তাঁদের ভোট দিয়েছেন। মোট ৮০৪৯ প্রতিদ্বন্দ্বী র মধ্যে থেকে লোকসভার ৫৪২ জন সদস্য নির্বাচন করতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছিলেন।
৫৪৩ টি আসনের মধ্যে ৫৪২ টি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কারণ ভেলোরের নির্বাচনী এলাকা থেকে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনে ভোট বাতিল করেছিল।