নিউ দিল্লি: লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Elections 2019) দিল্লির সাতটি আসনেই এগিয়ে রয়েছে বিজেপি (BJP)। নির্বাচন আধিকারিকরা জানাচ্ছেন পাঁচটিতে কংগ্রেস ও দু'টিতে আপকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে গেরুয়া দল। ক্রিকেট থেকে রাজনীতিতে আসা গৌতম গম্ভীর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন, সাংসদ মনোজ তিওয়ারি এগিয়ে থাকা প্রার্থীদের অন্যতম। কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেত্রী শীলা দীক্ষিত উত্তর-পূর্ব দিল্লি কেন্দ্রে তিওয়ারির পরেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। ব্যবধান ২৯, ৭৯৭। এদিকে চাঁদনি চক লোকসভা কেন্দ্রে বর্ধনের থেকে ৮,৭৬৪ ভোটে পিছিয়ে রয়েছেন প্রাক্তন সাংসদ জেপি আগরওয়াল। আগরওয়াল অভিযোগ জানিয়েছেন, তাঁর গণনা-প্রতিনিধিদের অনুপস্থিতিতে স্ট্রংরুমের দরজা খোলা হয়েছিল। বর্তমান বিজেপি সাংসদ পরভেশ সাহিব সিংহ ভার্মা পশ্চিম দিল্লি কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী মহাবল মিশ্রের থেকে ৩৭,৩৮৭ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। বিজেপি এগিয়ে রয়েছে নয়াদিল্লি, দক্ষিণ দিল্লি ও উত্তর-পশ্চিম দিল্লি লোকসভা কেন্দ্রেও।
নির্বাচন আধিকারিকদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রাক্তন ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীর পূর্ব দিল্লি লোকসভা কেন্দ্রে কংগ্রেসের অরবিন্দ সিংহের থেকে ১৮,৬৩২ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। এদিকে বর্তমান সংসদ রমেশ বিদুরি আপ প্রার্থী রাঘব চাড্ডার থেকে ৩০,৭৫৫ ভোটে এগিয়ে দক্ষিণ দিল্লি লোকসভা কেন্দ্রে। নয়া দিল্লির সাংসদ মীনাক্ষী লেখি কংগ্রেস প্রার্থী অজয় মাকেনের থেকে ১০,৪৮৬ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। উত্তর-পশ্চিম দিল্লিতে গেরুয়া দলের হংস রাজ হংস আপ প্রার্থী গগন সিংহের থেকে ৪৬,৩৭৯ ভোটে এগিয়ে। উত্তর-পূর্ব দিল্লির আপ প্রার্থী দিলীপ পাণ্ডে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, প্রাথমিক ট্রেন্ড থেকে যেন কোনও বিচার না করেন আমজনতা। তাঁর মতে ‘‘সেটা ঠিক হবে না।''
দিল্লির সাতটি কেন্দ্রে গণনা চলছে। যেখানে ভাগ্য নির্ধারিত হবে ১৬৪ জন প্রার্থীর, যাঁরা ১২ মে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। দিল্লির ১.৪৩ কোটি ভোটারদের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৬০.২১ শতাংশ জন। সাত লোকসভা কেন্দ্রে লড়াই মূলত ত্রিমুখী— বিজেপি ছাড়াও উদ্দীপ্ত কংগ্রেস ও শাসক আপ। দিল্লির নির্বাচনে তারকা মুখ কম নেই। যথা— দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বর্ধন ও ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিক হয়ে ওঠা গৌতম গম্ভীর। এছাড়াও অলিম্পিয়ান বক্সার বিজেন্দর সিংহ, যিনি দক্ষিণ দিল্লি কেন্দ্রে প্রার্থী এবং আপ-এর অতিশিও উল্লেখযোগ্য নাম। ২০১৪ সালের মতো এবারেও সাতটি আসনই জিততে চায় বিজেপি। আর সেবার তিন নম্বরে শেষ করা কংগ্রেস চায় দারুণ ভাবে ফিরে আসতে