Lok Sabha Election Results 2019: আধঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বৈঠক করেন তাঁরা
নিউ দিল্লি: অন্যতম বর্ণহীন রাজনৈতিক মুহূর্ত তৈরি হল দেশে, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, তাঁর মা সোনিয়া গান্ধী ও বোন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বৃহস্পতিবার একটি বৈঠকে বসলেন ২০১৪-র পরে দ্বিতীয়বার দলের ভরাডুবি নিয়ে পর্যালোচনা করতে। লোকসভা নির্বাচনের (Election Results 2019) এখনও পর্যন্ত যা ভোটগণনা হয়েছে, তা থেকে বোঝা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিপুল জয় পেতে চলেছেন এবং ২০১৪-র থেকেও বেশি আসন নিয়ে ফিরতে চলেছেন মসনদে— লোকসভার ৫৪২ আসনের মধ্যে প্রায় ৩৫০ আসন। কংগ্রেস ও জোটসঙ্গীরা এগিয়ে আছে মাত্র ৮৮টি আসনে। কংগ্রেসকে এমনকী তিন অঙ্কে পৌঁছতে পর্যন্ত লড়াই করতে হচ্ছে। দলের মুখ্য রাহুল গান্ধী উত্তরপ্রদেশের আমেঠীতে তীব্র লড়াই লড়ছেন, যে কেন্দ্রটি বরাবরই গান্ধী পরিবারের শক্ত ঘাঁটি এবং এখনও পর্যন্ত দলের নিশ্চিত আসন হিসেবে পরিগণিত।
সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, গান্ধীরা আধঘণ্টা ধরে বৈঠক করেন। সূত্র এও বলছে, কংগ্রেস ভাবতে পারেনি এত খারাপ ফল হবে। তারা ভয় পেতে শুরু করেছে কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানকেও এবার টার্গেট করা হবে।
সূত্র বলছে, বহু সিনিয়র কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর নেতৃত্ব এবং দলের সভাপতি হওয়ার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, নেতারা বলছেন, ‘চৌকিদার চোর হ্যায়' প্রচার বিশ্রীভাবে ফ্লপ করেছে, বা বলতে গেলে উল্টো ফল হয়েছে। রাহুল গান্ধী নিজের সমস্ত মিছিলে এই স্লোগান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কে লক্ষ্য করে। রাফায়েল বিমান চুক্তিতে তাঁকে পুঁজিবাদের বন্ধু হিসেবে অভিযুক্ত করে। আর এক বিরোধী নেতা ওমর আবদুল্লাও প্রশ্ন তুলেছেন ‘চৌকিদার চোর হ্যায়' কি সঠিক স্লোগান ছিল নাকি রাফায়েলকে কেন্দ্র করে সেটা বলাটা ঠিক হয়েছে।
কয়েক জন কংগ্রেস নেতা বলছেন, এটা সংখ্যালঘু তোষণ ও জাতপাতের রাজনীতির বিরুদ্ধে পরিষ্কার রায়। তাঁরা এটাও লক্ষ করেছেন, কংগ্রেসের কাছে এমন একজন নেতা নেই যাঁকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে তুলে ধরা যায়। কোনও কোনও জোটসঙ্গী প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে কংগ্রেস কি একটা দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং তার কি নিজেকে নতুন করে দেখা দরকার?
গত নির্বাচনে দল ৪৪টি আসনে জয়লাভ করেছিল, যা তাদের সর্বনিম্ন। সেই সময় সোনিয়া গান্ধী ছিলেন মুখ্য ও রাহুল গান্ধী ছিলেন সহ সভাপতিস যাঁরা প্রচারে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে তাঁরা পদত্যাগও করতে চেয়েছিলেন। এবারের ফলে দল সামান্য উন্নতির ছোঁয়া পেলেও বৃহত্তর ক্ষেত্রে বিপুল ক্ষতি তাতে সামাল দেওয়া সম্ভব নয়। রাজধানীতে কংগ্রেসের সদর দফতর কার্যত নির্জন। ফল সামনে আসতে শুরু করতেই বহু নেতা সেখান থেকে চলে যান।