দেখুন এই সংক্রান্ত ১০ তথ্য:
"আমরা বিজেপিকে নিঃশর্ত সমর্থন করব। আমার বাবা আরএসএসে ছিলেন, তাই আমরা এই পরিবারেরই অংশ। আমরা সকলেই বিজেপিকে সমর্থন করতে রাজি হয়েছি," বলেন গোপাল কান্দা।
মুখ্যমন্ত্রী খাট্টার চণ্ডীগড়ে তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে হেলিকপ্টারে করে সকাল ৯.৩০ এর সময় দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হন। "আমরা হরিয়ানায় সরকার গঠন করতে যাচ্ছি। আমি আশাবাদী," সাংবাদিকদের সামনে বলেন খাট্টার।
গোপাল কান্দার একটি বিতর্কিত রেকর্ড রয়েছে। ৫৩ বছর বয়সী ওই বিধায়ক, ২০১২ সালে তাঁর নাম একজন বিমান সেবিকার আত্মহত্যার সঙ্গে জড়িয়ে যাওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুডার মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের জন্য গত রাতে বিজেপি সাংসদ সুনিতা দুগল তাঁকে নিয়ে দিল্লিতে যান বলে জানা গেছে।
অন্য যাঁরা বিজেপিকে সমর্থন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে তাঁরা হলেন নয়ন পাল রাওয়াত, ধরমপাল গোদার, সোমবীর সংঘওয়ান, বলরাজ কুণ্ডু, রন্ধির গৌন্ডাল এবং রঞ্জিত সিং।
দুশ্যান্ত চৌতলা, যার জননায়ক জনতা পার্টি দশটি আসনে জয়লাভ করেছে, তিনি তাসের টেক্কা হবেন বলে আশা করা হচ্ছিল। কিন্তু বিজেপির আর মাত্র ছয়টি আসন প্রয়োজন হওয়ায় তিনি গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছেন। চৌতালার সঙ্গে একটি সম্ভাব্য জোটের জন্য যোগাযোগ করা হয়েছিল কংগ্রেসের তরফে কিন্তু তিনি কোনও প্রতিশ্রুতি দেননি বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে চৌতলা বলেছিলেন, "আমি বিশ্বাস করি জেজেপির হাতে রয়েছে আসল চাবিকাঠি"। সূত্র জানিয়েছে যে সম্ভবত ৩১ বছর বয়সী ওই নেতা কংগ্রেস থেকে মুখ্যমন্ত্রী পদের প্রস্তাবের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
হরিয়ানায় জেজেপির সভাপতি সরদার নিশান্ত সিং এএনআইকে বলেন যে বিজেপি এবং কংগ্রেস উভয়েরই কাছ থেকে সরকার গঠনের জন্য তাঁরা আমন্ত্রণ পেয়েছেন। "উভয় পক্ষের কাছ থেকেই দিকে আমাদের কাছে আমন্ত্রণ রয়েছে। আমরা আমাদের নির্বাচিত প্রার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করার পরেই সিদ্ধান্ত নেব। বিজেপির পক্ষে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই তাই বোঝা যাচ্ছে যে স্পষ্টতই জনাদেশ তাঁদের বিরোধী। আমরা বৈঠকের পরে আমাদের অবস্থান বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব"।
কংগ্রেস প্রচারের নেতৃত্বদানকারী ভূপিন্দর হুদা বলেন যে তিনি "আশা ছাড়েননি" তবে তিনি উল্লেখ করেছিলেন যে তিনি একজন "বাস্তববাদী মানুষ" ছিলেন যিনি সবকিছুর জন্য়েই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন।
ভূপিন্দর হুডার ছেলে দিপেন্দ্র হুডা বিজেপির সঙ্গে নির্দল প্রার্থীদের আলোচনা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। তিনি এএনআইকে বলেন, "তাঁরা তাঁদের নিজস্ব রাজনৈতিক কবর খুঁড়ছে। তাঁরা জনগণের আস্থা বিক্রি করছে। হরিয়ানার মানুষেরা যারা এগুলি করে তাঁদের কখনই ক্ষমা করে না। তাঁরা তাঁদের জুতো ছুঁড়ে মারবে"।
ফলাফল ঘোষণার পর দিল্লিতে দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই জয়কে একটি "অভূতপূর্ব জয়" বলে উল্লেখ করেন। "এই দুই রাজ্যে জয় আসলে অভূতপূর্ব জয় কারণ সাধারণভাবে খুব কম সরকারই পাঁচ বছর পরে ফিরে আসে। এই সময়ে পুর্ননির্বাচিত হওয়া একটি বড় বিষয়", বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)