Election Results 2019: সকাল ৮টায় মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় গণনা শুরু হয়
হাইলাইটস
- Dushyant Chautala's JJP could emerge as kingmaker in Haryana
- BJP chief Amit Shah summoned Haryana Chief Minister ML Khattar to Delhi
- Shiv Sena indicated it will insist on 50:50 formula in Maharashtra
নয়াদিল্লি:
হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনের ফল ত্রিশঙ্কু, সূত্র মারফৎ বৃহস্পতিবার জানা গিয়েছে, রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খাট্টার, সেরাজ্যে বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে আসতে চলেছে বিজেপি। ৯০ আসনের হরিয়ানা বিধানসভায় ৪০টিতে এগিয়ে গেরুয়া ব্রিগেড, সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে প্রয়োজন ৪৬ আসন। ৩১টি আসনে এগিয়ে কংগ্রেস, সে রাজ্যে নির্ণায়ক ভূমিকা নিতে পারে জাঠ নেতা দুষ্মন্ত চৌটালার দল জেজেপি। শিবসেনার সঙ্গে জোট গড়ে মহারাষ্ট্রেও সরকার গড়তে চলেছে বিজেপি। মহারাষ্ট্রে ব্যাপক ফল করেছে শিবসেনা, সরকার গঠনের ক্ষেত্রে ৫০-৫০ চুক্তি কার্যকর, এবং মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবি তুলেছে তারা। জাতীয় ইস্যুকে হাতিয়ার করে নির্বাচনে নেমেছিল বিজেপি।
নির্বাচনের ফলাফল সংক্রান্ত ১০টি তথ্য এখানে:
বৃহস্পতিবারই হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খাট্টারকে ডেকে পাঠান বিজেপি সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, “রাজ্যে বিজেপিকে বৃহত্তম দল করার জন্য” হরিয়ানাবাসীকে ধন্যবাদ জানান তিনি। ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী মোদি লেখেন, “আমাদের আশীর্বাদ করার জন্য আমি হরিয়ানার বাসিন্দাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। রাজ্যের উন্নয়নে আমরা একইভাবে আগ্রহ ও একাগ্রতার সঙ্গে কাজ করে যাব। হরিয়ানার নেতাদের আমি কঠোর পরিশ্রমের প্রশংসা করছি, যাঁরা প্রচণ্ড পরিশ্রম করেছেন এবং আমাদের উন্নয়নের কর্মসূচীকে এগিয়ে নিয়ে যেতে মানুষের দরবারে গিয়েছেন”
.
ভাল ফল করার পরেই দুষ্মন্ত চৌটালার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে কংগ্রেস। NDTV কে দুষ্মন্ত চৌটালা বলেন, “যেভাবে ফলাফল দেখা যাচ্ছে, তাতে পরিষ্কার, মানুষ পরিবর্তন চাইছেন”, পাশাপাশি তিনি বলেন, “সরকার গঠনের চাবি থাকবে জেজেপির হাতে”।
কংগ্রেস নেতা দীপন্দর হুডা বলেন, “দুষ্মন্ত চৌটালাকে আমাদের সঙ্গে আসতে বলব। বিজেপিতে ছুঁড়ে ফেলতে তাদের প্রত্যেকটি বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন”। তিনি অভিযোগ করেন, সমর্থনের জন্য নির্দল বিধায়কদের চাপ দিচ্ছে বিজেপি এবং জানান, যদি এটা চলতে থাকে, নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাবেন তিনি।
মহারাষ্ট্রে, ২৮৮ আসনের মধ্যে, ১৫০টি আসনে এগিয়ে বিজেপি ও তাদের জোটসঙ্গী শিবসেনা। তবে তা তাদের প্রত্যাশিত ২৫০-এর নীচে। প্রত্যাশার থেকে কম পেতে চলেছে বিজেপি। নিজেরাই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার প্রত্যাশা রয়েছে বিজেপির, তবে এগিয়ে রয়েছে ১০০টি আসনে। ২০১৪ নির্বাচনে তারা পেয়েছিল ১২২ আসন। ৬০টি আসনে এগিয়ে রয়েছে শিবসেনা। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজন ১৪৫টি আসন।
পূর্বাভাস যা পাওয়া যাচ্ছে, তাতে ভাল ফলের আশা শিবসেনার, তারপরেই সরকার গঠনের ৫০-৫০ চুক্তি কার্যকর করার ইঙ্গিত দিয়েছে তারা। মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে উদ্ধব ঠাকরে বলেন, ৫০-৫০ চুক্তি কার্যকর করার সময় এসেছে। তিনি বলেন, “বিজেপির অনুরোধ করার থেকেও কম আসনে লড়েছে শিবসেনা, আমরা সবসময়েই এত মেনে নিতে পারব না”।
সূত্র মারফৎ ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে যে, ৫ বছরের সরকার ভাগ করার প্রস্তাব দিতে পারে শিবসেনা, আড়াই বছরের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবি করতে পারে তারা।
মহারাষ্ট্রের ৯৭টি আসনে এগিয়ে কংগ্রেস এবং তাদের জোটসঙ্গী এনসিপি। তবে ভাল ফলের কৃতিত্ব যাবে শরদ পাওয়ারের দলের পক্ষে, কংগ্রেসকে ছাপিয়ে গিয়েছে তারা। একা হাতে এনসিপিকে নিয়ন্ত্রণ করেছেন শরদ পাওয়ার।
১৭টি রাজ্য একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৫১টি বিধানসভা এবং দুটি লোকসভা আসনে উপনির্বাচন হয়। ৩০টি বিধানসভা আসনে এগিয়ে বিজেপি, কংগ্রেস এগিয়ে ১২টি আসনে। বাকিগুলিতে এগিয়ে আঞ্চলিক দলেরা।
জাতীয় ইস্যুগুলিকে প্রচারের অন্যতম মূলধন করেছিল বিজেপি, সেখানে স্থানীয় ইস্যুগুলিকে গুরুত্ব দিয়েছিল বিরোধীরা। তারমধ্যে রয়েছে বেকারত্ত্ব, কৃষিসঙ্কট, কৃষকদের আত্মহত্যা, এবং অর্থনীতির গতি শ্লথ হওয়ার মতো বিষয়গুলি।
লোকসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবির পর উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে কংগ্রেস, দলের সভাপতি পদ থেকে রাহুল গান্ধির ইস্তফার পর থেকে নেতৃত্ব সঙ্কট রয়েছে। অন্যদিকে, একঝাঁক নেতাকে ময়দানে নামায় বিজেপি, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি, অমিত শাহরা। সাতটি মাত্র সভা করেছেন রাহুল গান্ধি। একটি মাত্র সভা করেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধি।
Post a comment