আজ সকালে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
নয়াদিল্লি: আগামি বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে সন্ধে ৭টায় নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) দ্বিতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন। তার আগে আজ সকালে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের (Pranab Mukherjee) সঙ্গে দেখা করলেন তিনি। প্রণব মুখোপাধ্যায়কে তিনি তাঁর টুইটে বর্ণনা করলেন ‘রাষ্ট্রনায়ক' হিসেবে। মোদী দু'টি ছবিও শেয়ার করেছেন। যার একটিতে দেখা যাচ্ছে প্রণববাবু তাঁকে মিষ্টি খাইয়ে দিচ্ছেন। তাঁদের সাক্ষাতের কথা জানিয়ে মোদী যে টুইট করেছেন, তাতে তিনি লিখেছেন— ‘‘প্রণবদার সঙ্গে দেখা হলে সবসময়ই সেটা একটা সমৃদ্ধিজনক অভিজ্ঞতা হয়। ওঁর জ্ঞান ও অন্তর্দৃষ্টি অভূতপূর্ব। উনি একজন রাষ্ট্রনায়ক, যিনি দেশের জন্য অনপনেয় অবদান রেখেছেন। আজকের সাক্ষাতে তাঁর আশীর্বাদ প্রার্থনা করেছি।''
নেতা হিসেবে মোদীর 'ক্যারিশ্মা' জওহরলাল নেহেরু, রাজীব গান্ধীর মতোই: রজনীকান্ত
মোদীর টুইটের ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই প্রণব মুখোপাধ্যায় টুইট করেন। সেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে তাঁর টুইটের জন্য ধন্যবাদ দেন। এবং মোদীকে তাঁর ‘সব কা সাথ, সব কা বিকাশ, সব কা বিশ্বাস' (সকলের সঙ্গ, সকলের উন্নতি, সকলের বিশ্বাস) লক্ষ্যের জন্য শুভকামনা জানান।
লোকসভা নির্বাচনে জয়লাভ করে ক্ষমতায় আবার বিজেপি। নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর থেকেই মোদীকে দেখা যাচ্ছে সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে।
একজন বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর জন্য তৃণমূল দায়ী নয়, মোদীর অভিযোগ উড়িয়ে দাবি বাংলার শাসক দলের
গতকালই তিনি দেখা করতে গিয়েছিলেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা এলকে আদবানি ও মুরলি মনোহর জোশির সঙ্গে। তাঁদের কাছ থেকে আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন তিনি।
গত বৃহস্পতিবার বিপুল জয় পেয়েছে বিজেপি। বিরোধীদের উড়িয়ে দিয়ে ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ৩০৩টি আসনে জয়লাভ করে বিজেপি। প্রথম বিজেপি নেতা হিসেবে দ্বিতীয় বারের জন্য প্রধামন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন মোদী। এর আগে এই কৃতিত্ব দেখিয়েছেন তিন কংগ্রেস নেতা বা নেত্রী। তাঁরা হলেন জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী ও মনমোহন সিংহ। আগামি বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন তিনি। তাঁর মন্ত্রিসভার সম্ভাব্য নতুন মন্ত্রী কারা, সে ব্যাপারে গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়েছে।
২০১২ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত দেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। এই বছরের জানুয়ারিতে মোদী সরকারের সুপারিশে ভারতরত্নে ভূষিত হন তিনি।