தமிழில் படிக்க Read in English
This Article is From May 25, 2019

বিপর্যয়ের কারণ খুঁজতে আজ জরুরি বৈঠক ডাকলেন মমতা

Election Result: দেশে তো বটেই রাজ্যেও থাবা বসিয়েছে বিজেপি। ৪২টির মধ্যে ১৮টি আসন জিতেছে গেরুয়া শিবির। তৃণমূলের দখলে  আছে ২২ টি আসন।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

ফল কেন এতটা খারাপ হল তা বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করবেন মমতা।

Highlights

  • কাল শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে এই বৈঠক হবে,
  • দলের ফল কেন এতটা খারাপ হল তা বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করবেন মমতা
  • সম্পূর্ণ প্রকাশ হওয়ার আগেই টুইট করে প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন মমতা
কলকাতা:

বিজেপিকে ভারত ছাড়া করার ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। দলের অনেকেই আশা করেছিলেন বিজেপিকে পরাজিত করে নতুন যে সরকার দিল্লিতে তৈরি হবে তাতে বড় ভূমিকা নেবে তৃণমূল (TMC)। কিন্তু ফলাফল হয়েছে একেবারে উল্টো। দেশে তো বটেই রাজ্যেও থাবা বসিয়েছে বিজেপি। ৪২টির মধ্যে ১৮টি আসন জিতেছে গেরুয়া শিবির। তৃণমূলের দখলে  আছে ২২ টি আসন। তবে আগামী দিনে রাজ্যে নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখা তৃণমূলের কাছে বেশ শক্ত ব্যাপার বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এমতাবস্থায় দলের সাংসদ থেকে শুরু করে বিধায়ক দলীয় প্রার্থী,  এবং জেলার নেতাদের বৈঠকে ডাকলেন মমতা(Mamata Banerjee)। আজ শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে এই বৈঠক হবে।

নয়া মন্ত্রিসভায় গুরুত্ব পাবে বাংলা, স্মৃতি ইরানি

সেখানে পরাজয়ের কারণ নিয়ে পর্যালোচনা হবে। দলের ফল কেন এতটা খারাপ হল তা বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করবেন মমতা। এমনিতেই লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল সম্পূর্ণ প্রকাশ হওয়ার আগেই টুইট করে প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি(Mamata Banerjee) বলেছিলেন, "জয়ীদের   অভিনন্দন। আমাদের ফল এরকম কেন হল তা আমরা খতিয়ে দেখব"। পাশাপাশি তিনি লিখেছেন, "পরাজিত হওয়া মানেই হেরে যাওয়া নয়"। এবার দলীয় নেতাদের বৈঠকে ডাকলেন নেত্রী ।

এ ব্যাপারে তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, "বিজেপির উত্থান আমাদের চমকে দিয়েছে। জনমত যে এভাবে আমাদের বিপক্ষে যাবে তা আমরা বুঝতেই পারিনি। এমতাবস্থায় বেশি দেরি হয়ে যাওয়ার আগে নিজেদের সাংগঠনিক ভুল-ত্রুটি সংশোধন করে নেওয়া প্রয়োজন। আর সে কারণেই নেত্রী বৈঠকে ডেকেছেন"। এদিকে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে এবার বাংলায় প্রদত্ত ভোটের ৪৩. দশমিক ২৮ শতাংশ পেয়েছে তৃণমূল। বিজেপি পেয়েছে  ৪০.২৫ শতাংশ। এখান থেকেই রাজনৈতিক মহলের অনুমান বামেদের ভোটের প্রায় পুরোটাই চলে গিয়েছে বিজেপিতে। সেই কারণে স্বাধীনতার পর এই প্রথম বাংলায় বামেরা মাত্র ৭. ৮ শতাংশ ভোট পেয়েছে। কোনও আসনেই তারা জিততে পারেনি। শুধু তাই নয় শুধু যাদবপুর কেন্দ্রে বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য ছাড়া রাজ্যের আর সমস্ত প্রার্থীদের জমানত  বাজেয়াপ্ত হয়েছে। 

Advertisement

তৃণমূলকে উপযুক্ত জবাব দেবে বিজেপি: দিলীপ ঘোষ

তাছাড়া দীর্ঘদিন বাদে এতটা খারাপ হওয়ায় চিন্তায় পড়েছে শাসক শিবিরও।  এই পরিস্থিতি থেকে কীভাবে বেরিয়ে আসা যায় তা নিয়ে আলোচনা করতেই শনিবার বৈঠক ডাকলেন নেত্রী(Mamata Banerjee)। কলকাতার পাশাপাশি অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হবে দিল্লিতেও। ইতিমধ্যেই কংগ্রেসেও পদত্যাগেরপর্ব শুরু হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির   দায়িত্ব ছেড়েছেন রাজবব্বর।  লোকসভা নির্বাচন শুরুর আগে রাজকে  এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।কিন্তু এবার দেশের সবচেয়ে বড় রাজ্যে কংগ্রেসের ফল খুবই খারাপ হয়েছে। মাত্র একটি আসন জিততে পেরেছে তারা। এই হারের দায় নিয়ে পদ থেকে সরে যেতে চেয়ে রাহুলকে চিঠি লিখেছেন রাজ।

Advertisement
Advertisement