Read in English
This Article is From Apr 29, 2019

রাজ্যে চতুর্থ দফার ভোটে প্রবল সংঘর্ষের সাক্ষী হল নানুর

পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠলে এলাকায় আসে বিশাল নিরাপত্তাবাহিনী। তাদের সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীও। 

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

ভোট না দিতে পারায় প্রতিবাদ সাধারণ মানুষের

শান্তিনিকেতন:

লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha election) চতুর্থ দফার ভোটে বিক্ষিপ্ত হিংসা ও অনিয়মের সাক্ষী হয়ে রইল বাংলা। সোমবার রাজ্যের আটটি কেন্দ্রে ভোট ছিল। তার মধ্যে সবথেকে খারাপ অবস্থা ছিল বীরভূমের নানুরে। এক ব্যক্তি ভয়ঙ্করভাবে জখম হন সংঘর্ষে। এছাড়া, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়'র (Babul Supriyo) আসন আসানসোলে মন্ত্রীর গাড়ি ভাংচুর করা হয়। বুধদখল এবং রাজ্যে হিংসাত্মক কার্যকলাপ চলেছে তাদের মদতে, এই অভিযোগ বিজেপি নির্বাচন কমিশনের কাছে করে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, বিজেপি প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) বিধিলঙ্ঘন করেছেন এবং রাজ্যে হিংসায় মদত দিয়েছেন বলে তৃণমূল কংগ্রেসও অভিযোগ করে নির্বাচন কমিশনের কাছে। নির্বাচন কমিশনকে একটি চিঠি লিখে তৃণমূল জানায়, "বিজেপি নেতাদের মদতে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যের স্বচ্ছ নির্বাচন করতে বাধা দিয়েছে"।

সোমবার বীরভূম জেলার দুটি কেন্দ্রতে ভোট হয়। ওই দুটি কেন্দ্র হল- বীরভূম ও বোলপুর। সকাল থেকেই নানুরে সংঘর্ষের রিপোর্ট আসতে থাকে। তৃণমূল কর্মীরা তাঁদের ভোট দিতে দিচ্ছেন না, এই অভিযোগে হাতে বাঁশের লাঠি নিয়ে পুরুষ, নারী নির্বিশেষে সকলে প্রতিবাদ মিছিল করেন। বিজেপি সমর্থকদেরও দাবি, তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা তাঁদের ভোটদান করতে বাধা দেন।

৯'টি রাজ্যের মধ্যে বিকেল ৫'টা পর্যন্ত সবথেকে বেশি ভোট পড়ল পশ্চিমবঙ্গে

Advertisement

পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠলে এলাকায় আসে বিশাল নিরাপত্তাবাহিনী। তাদের সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীও। 

প্রসঙ্গত, বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের 'বাদশা' অনুব্রত মণ্ডলকে গত সন্ধে থেকেই নজরবন্দি করে রেখেছিল নির্বাচন কমিশন। তাঁর ফোনটিও কেড়ে নেওয়া হয়।

Advertisement

যদিও তাতেও তাঁর কোনও হেলদোন নেই! অনুব্রত আছেন 'অনুব্রত'তেই! তিনি নির্বিকারভাবে বলেছিলেন, "আমার ওপর ২৪ ঘন্টার নজরদারি চালিয়ে কোনও লাভ হবে না। আর ফোন কেড়ে নিয়েও কোনও লাভ নেই। যেমনভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তেমনভাবেই ভোট হবে। মানুষ আমাদের সঙ্গে আছেন। আমাদের কোনও ভয় নেই"।

Advertisement