উপনির্বাচনে ভোটারদের টানতে জাতীয়তাবাদ তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ
লখনউ: উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) ১১টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনে (Assembly Bypolls) আজ ভোটগ্রহণ পর্ব, তাদের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীরা সেভাবে প্রচার না করায় সুবিদাজনক জায়গায় বিজেপি। তারমধ্যে ৮টি আসন আগে বিজেপির দখলে ছিল, একটিতে জিতেছিল তাদেরই জোটসঙ্গী আপনা দল। একটি করে আসন দখলে ছিল সমাজবাদি পার্টি এবং বহুজন সমাজবাদি পার্টির। উত্তরপ্রদেশের ১১ আসনেই লড়াই করছে সমাজবাদি পার্টি, তবে উপনির্বাচনে শুধুমাত্র রামপুরে একটিমাত্র সভা করেছেন দলীয় সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব। আজম খান লোকসভায় যাওয়ায় এই কেন্দ্রে উপনির্বচনে প্রার্থী তাঁর স্ত্রী তাজিন ফাতমা। ঘটনাচক্রে, কয়েক মাস আগে জমি দখলের অভিযোগে আজম খানের বিরুদ্ধে ৮৪টি ফৌজদারী মামলা রুজু করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
মায়াবতীর বিএসপি এবারও সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে লড়াই না করে একাই ১১ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে, তবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবারও উপনির্বাচনের প্রচার করেননি। তাঁর প্রচার না করার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে, তাঁর দল স্পষ্ট জানিয়েছে যে মায়াবতী উপনির্বাচনের প্রচারে বিশ্বাস করেন না।
Assembly Elections : মহারাষ্ট্র, হরিয়ানায় ভোটগ্রহণ, ভাল জায়গায় বিজেপি: ১০টি তথ্য
ওদিক কংগ্রেস, তাদের নতুন রাজ্য সভাপতি অজয় কুমার লাল্লুর নেতৃত্বে মোট ১১ টি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পরেও এই নির্বাচনের আগে দলের দুর্দান্ত মনোভাব সদস্যদের মনোবল বাড়িয়ে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বিজেপির হয়ে রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারের নেতৃত্ব দেন, যিনি তাঁর জনসভায় জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদাকে বাদ দেওয়ার মতো জাতীয় ইস্যুটিও তুলে ধরেন এবং বিরোধীদের জাতীয়তাবাদ ইস্যুতে সমালোচনা করেন।
৫১ বিধানসভায় উপনির্বাচন, ১৮ রাজ্যের ২টি লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ
গঙ্গোহ, রামপুর, ইগলাস (এসসি), লখনউ সেনানিবাস, গোবিন্দনগর, মানিকপুর, প্রতাপগড়, জয়দপুর (এসসি), জালালপুর, বালহা (এসসি) এবং ঘোসি বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে ১০৯ জন প্রার্থীর রাজনৈতিক ভাগ্য নির্ধারণ হবে। বিজেপির বিধায়ক রিতা জোশি লোকসভায় যাওয়ার পরে বিজেপির শক্ত ঘাঁটি লখনউ ক্যান্টনমেন্ট আসনটি খালি হয়, সেই আসনটির দিকেও নজর থাকবে সবার। তবে এই নির্বাচনী আবহের মধ্যেই হিন্দু সমাজ পার্টির নেতা কমলেশ তিওয়ারির হত্যার ঘটনা সেখানকার রাজনৈতিক পটচিত্রে এক নয়া রং দিয়েছে।
এই বছরের শুরুর দিকে লোকসভা নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে বেশ কয়েকজন বিধায়ক লোকসভায় চলে যাওয়ার পরে উত্তরপ্রদেশের উপনির্বাচন প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে। পাশাপাশি ঘোষির বিধানসভা কেন্দ্রটিও বিধায়ক ফাগু চৌহানকে বিহারের রাজ্যপাল নিযুক্ত করার পরে শূন্য হয়ে পড়ে।