সাধ্বী প্রজ্ঞার পাশে দাঁড়ালেন মোদী।
নিউ দিল্লি: শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানালেন, হিন্দুত্বকে যারা ‘সন্ত্রাসবাদ'-এর সঙ্গে এক করে দেখানোর চেষ্টা করছে, ভোপাল লোকসভা কেন্দ্র থেকে সাধ্বী প্রজ্ঞার ভোটে দাঁড়ানো তাদের দিকে ছুঁড়ে দেওয়া এক সপাট জবাব। তিনি আরও বলেন, এই চিহ্নটি কংগ্রেসের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। ২০০৮ সালের মালেগাঁও বিস্ফোরণ কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সাধ্বী প্রজ্ঞা ঠাকুরকে বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড় করানো নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সমঝোতা এক্সপ্রেস বিস্ফোরণ এবং বিচারপতি বি এইচ লোয়ার মৃত্যু নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যে সাজানোর চেষ্টা করছে কংগ্রেস। মালেগাঁও বিস্ফোরণ কাণ্ডে অভিযুক্ত সাধ্বী প্রজ্ঞা এখন জামিন পেয়ে কারাগারের বাইরে রয়েছেন। এমন একজন প্রার্থীকে বিজেপির করা হল কেন, এই প্রশ্নের উত্তরে মোদী বলেন, অমেঠি আর রায়বরেলি কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছেন রাহুল গান্ধী ও তাঁর মা সোনিয়া গান্ধী। ওঁরাও তো ‘জামিন'-এ ছাড়া পেয়েই বাইরে রয়েছেন!
টাইমস নাউ'কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে নরেন্দ্র মোদী বলেন, “একজন মহিলা, যিনি আবার একজন সাধ্বীও, তাঁকে এত অপমান করা হয়েছে। এতটা অকথ্য অত্যাচারের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। ভাবা যায়”!
"আমি ইন্দিরা গান্ধী নই, তবে কাজ করব তাঁর মতোই", কানপুরে বললেন প্রিয়াঙ্কা
তিনি আরও বলেন, “সমঝোতা এক্সপ্রেস নিয়ে রায় তো বেরিয়ে গিয়েছে। আপনারা সকলেই জানেন। তা কি ছিল সেই রায়ে? ৫ হাজার বছরের পুরনো একটা সভ্যতা, যা বরাবরই দিয়ে এসেছে ‘এই বিশ্ব এক'-এর বার্তা, কোনও প্রমাণ ছাড়াই আপনি তার গায়ে ‘সন্ত্রাসবাদী' তকমা লাগিয়ে দেবেন? যাঁরা এই কাজ করেন বা করে চলেছেন, তাঁদের জবাব দেওয়ার জন্যই সাধ্বী প্রজ্ঞাকে প্রার্থী করা হয়েছে। এর ফল ভুগতে হবে কংগ্রেসকে”।
গত বুধবারই বিজেপিতে যোগ দেন সাধ্বী প্রজ্ঞা। তারপরই তাঁকে ভোপাল লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী করে দেওয়া হয়।
মোদী কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন ১৯৮৪ সালের শিখ দাঙ্গার প্রসঙ্গ তুলে। তিনি বলেন, “ইন্দিরা গান্ধীর পুত্র রাজীব গান্ধী ওই সময় বলেছিলেন, কোনও বড় গাছ যখন পড়ে যায়, তখন পৃথিবী কেঁপে ওঠে। তারপরই দিল্লিতে কয়েক হাজার শিখকে হত্যা করা হয়। বহু মানুষের কাছে এটাও কি সন্ত্রাসবাদ নয়? তারপরেও তো রাজীব গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হয়ে গিয়েছিলেন। তখন তো এই তথাকথিত নিরপেক্ষ সংবাদমাধ্যম কোনও প্রশ্ন করেনি। কোনও প্রশ্ন তোলেনি। অথচ, এখন তারা সারাক্ষণ আরও কী কী প্রশ্ন করে ব্যাপারটিকে জটিল করে তোলা যায়, তার চিন্তাই করে চলেছেন”।
তারপরই তিনি বলেন, এত কিছু নিজেরা ঘটানোর পর কংগ্রেসের কি আর কোনও প্রশ্ন তোলার অধিকার জন্মায়?
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)