“ভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা তৈরির” জন্য প্রজ্ঞা ঠাকুরকে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল।
নিউ দিল্লি: “বাবরি মসজিদ ধ্বংস করে গর্বিত”, এই মন্তব্য করায় অভিযোগ দায়ের হতে চলেছে বিজেপি প্রার্থী প্রজ্ঞা ঠাকুরের (Pragya Thakur) বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচনী আধিকারিক। তিনি (Pragya Thakur) বলেন, “আমরা দেশ থেকে একটা পাথর সরিয়ে ছিলাম। আমরা সেটি ভাঙতে গিয়েছিলাম। আমি সবচেয়ে ওপরে উঠেছিলাম এবং ভেঙেছিলাম। আমি এর জন্য গর্ব অনুভব করি, কারণ, ভগবান আমায় সুযোগ দিয়েছিলেন। আমরা অবশ্যে নিশ্চিত করব যে, সেখানে রাম মন্দির (Ram Temple) তৈরি হবে”। “ভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি”র জন্য তাঁকে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল।যদিও নিজের কথায় তিনি অনড় বলেই জানিয়েছিলেন প্রজ্ঞা ঠাকুর(Pragya Thakur)।
বাবরি মসজিদ ধ্বংস হওয়ায় তাঁর কাছে গর্বের জানালেন সাধ্বী প্রজ্ঞা
তিনি(Pragya Thakur) বলেন, “হ্যাঁ, আমি সেখানে গিয়েছিলাম, আমি গতকালও সেকথা বলেছি, এটা অস্বীকার করছি না। আমি ধ্বংস করেছি। আমি ওখানে যাব এবং রামমন্দির(Ram Temple) নির্মাণে সাহায্য করব, আমাদের কেউ আটকাতে পারবে না”।
সূত্র মারফৎ জানা গেছে, দল তাঁকে "উস্কানিমূলক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে বলেছে।
২০০৮ মালেগাঁও বিস্ফোরণে অভিযুক্ত, গেরুয়া বসন পরিহিত এবং নিজেকে “সাধ্বী” বলে দাবি করা প্রজ্ঞা ঠাকুর। ২০০৮ মালেগাঁও বিস্ফোরণে ৬ জনের মৃত্যু হয় এবং আহত হন ১০০ জনেরও বেশী। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার যাকে “গেরুয়া সন্ত্রাস” (saffron terror) বলত, তার মুখ এই তিনি।
সাধ্বী এক দেশপ্রেমিক ও নিষ্পাপ কন্যাঃ শিবরাজ সিং চৌহান
গত সপ্তাহেই মধ্যপ্রদেশের ভোপাল কেন্দ্রে প্রার্থী হিসাবে তাঁর নাম ঘোষণা করে বিজেপি।এই কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী দ্বিগ্বিজয় সিং, যিনি “গেরুয়া সন্ত্রাসের”(saffron terror)সমালোচনার অন্যতম মুখ ছিলেন।
তাঁকে সমর্থন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। 26/11 মুম্বই হামলায় শহিদ হওয়া অফিসার হেমন্ত কারাকারেকে অভিশাপ দিয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তারপরেই নির্বাচন কমিশনের প্রথম নোটিশ যায় তাঁর কাছে। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে প্রজ্ঞা ঠাকুর বলেন, “আমি তাঁকে বলেছিলাম, তুমি শেষ হয়ে যাবে, এবং দুমাসের মধ্যে জঙ্গিদের হাতে নিহত হন তিনি”।