This Article is From May 12, 2019

“পরিবেশ রক্ষায়” ভোটের ময়দানে নীরজ আগরওয়াল

দূরবীন প্রতীকে ভোটে লড়া নীরজ আগরওয়াল (Niraj Agarwal)তুলে ধরছেন পরিবেশের বিষয়গুলি। ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টে ভাবনাচিন্তার প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

নীরজ আগরওয়াল মনে করেন, তাঁর প্রচার দক্ষিণ কলকাতার ১৭ লক্ষ ভোটারের মানসিকতার বদল ঘটাবে

কলকাতা:

লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে ঝড় তুলেছে এবং তুলছে বাম, ডান সব দলই।  একে অপরের বিরুদ্ধে তোপ, বেকাকরত্ত্ব, নীতিহীনতা সহ একে অপরকে বিভিন্ন অভিযোগে বিঁধছে, তবে সেসব থেকে বহুদূরে রয়েছে দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা( Kolkata Dakshin constituency)কেন্দ্রের নির্দল প্রার্থী নীরজ আগরওয়াল। তাঁর প্রচারে মূল ইস্যু পরিবেশ রক্ষা। আর সেই বিষয় নিয়েই লাগাতার প্রচার করে চলেছেন তিনি। কাজের দিনে বিকেল ৫টা থেকে হেঁটে প্রচার করছেন নীরজ আগরওয়াল। সঙ্গে রয়েছে তাঁর প্রতীক, দূরবীন। নিজের দুই ছেলে রয়েছে নির্দল প্রার্থী নীরজ আগরওয়ালের, তাঁদের জন্য দূষণমুক্ত পরিবেশ চান তিনি, লাগাতার চলছে তারই প্রচার।

দক্ষিণ কলকাতার প্রার্থী নীরজ বলেন, “দূরের জিনিসকে দেখতে আমরা দূরবীন ব্যবহার করি, সেই জন্য এটাকে ভোটের প্রতীক হিসাবে ব্যবহার করছি। যে ইস্যু নিয়ে আমরা লড়েছি, সেটা হল পরিবেশ, বিশেষ করে ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট নিয়ে আরও ভাবনাচিন্তার প্রয়োজন”।

08act8h8

নিজের অনুরাগীদের সঙ্গে নিয়ে মুখে মাস্ক পড়ে পরিবেশের জন্য ভোট চাইছেন নীরজ আগরওয়াল। এলাকার প্রত্যেকটি মানুষের কাছে আশপাশের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার আবেদন জানাচ্ছেন তিনি।

দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মালা রায়, বিজেপির চন্দ্র বসু এএবং কংগ্রেসের মিতা চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে লড়াই নীরজ আগরওয়ালের।তিনি বলেন, “একটা আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা কখনও ফলাফল দিয়ে বোঝা যায় না...যদি আমরা সংখ্যায় ৪ জন হই, এবং বন্ধুবান্ধব ও শুভানুধ্যায়ীরা সঙ্গে থাকে, তাহলে প্রত্যেকের কথার মূল্য আছে”।

৩৭ বছর বয়সী এই সাইবার বিশেষজ্ঞের রাজনীতি নিয়ে কোনও আগ্রহ নেই, এমনকী, তিনি গ্রিন মিশন নিয়ে দাঁড়ানো কোনও প্রার্থীকে সমর্থনের জন্যও তৈরি ছিলেন।কিন্তু পরে তিনি ভোটের ময়দানে নেমে পড়েন।

কেউ কেউ তাঁকে সমর্থন করেন, কেউ আবার অবাক হয়ে ভাবেন, একজনের পক্ষে পরিবর্তন আনা কীভাবে সম্ভব।

শহরেরই এক মিস্টি ব্যবসায়ী কিষাণ রাও বলেন, “একজন মানুষ কি রাজ্য এবং দেশের পরিবেশ দূষণে নিয়ন্ত্রণ আনতে পারবে ? গাড়ির সংখ্যা বেড়ে গেছে, ফলে বাড়ছে দূষণ, আমাদের ফুসফুস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, তবে আমি আপনার এই উদ্যোগকে সমর্থন জানাই”।

প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের বাসিন্দা উষা মুখোপাধ্যায়ের কথায়, “সমস্ত গাছ কেটে দেওয়া হচ্ছে. আমরা পর্যাপ্ত অক্সিজেন পাচ্ছি না, যার জন্যই এটার কারণে ভোটের প্রয়োজন। আমি তাঁকে সর্মথনে তৈরি”।

দক্ষিণ কলকাতায় হেভিওয়েট প্রার্থী থাকায় তাঁর ভাগ্যের দরজা যে প্রায়ই বন্ধ, তা বুঝতে পারছেন নীরজ গরওয়ান, তবে তাঁর বিশ্বাস দক্ষিণ কলকাতার ১৭ লক্ষ ভোটারের মানসিকতা বদলাতে সাহায্য করবে তাঁর এই প্রচার।

১৯ মে শেষ দফায় দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। ফলাফল ২৩  মে।

.