West Bengal: রাজ্য সরকার বৈদ্যুতিক বাস পরিষেবায় জোর দিচ্ছে, বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা: অন্যান্য রাজ্যের (West Bengal) মতো এ রাজ্যেও বাড়ছে বায়ুদূষণ। এবার তাই সেই বায়ুদূষণ কমাতে এবং পরিবেশ রক্ষায় বিকল্প পরিবহন ব্যবস্থা হিসাবে বৈদ্যুতিক বাস (Electric Buses) ও ফেরির উপর জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার, এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। জনগণকে সবুজ বাঁচানো এবং পরিচ্ছন্ন থাকার জন্য সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন বায়ুদূষণ রুখতে রাস্তায় রাসায়নিক মিশ্রিত জল ছড়ানো হচ্ছে, এর জন্যে একটি বিশেষ কর্মসূচিও চালু করা হয়েছে। "আজ # জাতীয় পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ দিবস। ''সবুজ বাঁচান, পরিষ্কার থাকুন'', আসুন আমরা এই অঙ্গীকার সফল করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাই। # বাংলায় আমাদের সরকার বায়ু দূষণ কমাতে পরিবহণের পদ্ধতি হিসাবে ই-বাস এবং ফেরিগুলির উপর জোর দিচ্ছে। আমরা এর জন্য একটি কর্মসূচিও চালু করেছি। রাস্তার ধুলোর মোকাবিলা করতে রাসায়নিকের সঙ্গে মিশ্রিত জল স্প্রে করা হচ্ছে", নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে লেখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Pollution control day : জাতীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ দিবসে কতটা দূষণমুক্ত আমরা? কিছু তথ্য, কিছু প্রশ্ন
রাজ্যের পরিবহণ দফতরের একজন সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ কর্পোরেশন (ডব্লিউবিটিসি) সম্প্রতি শহরের সঙ্গে শহরতলিতে সংযোগের জন্য ই-বাস পরিষেবা চালু করেছে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে প্রায় ৫,০০০টি ই-বাস রাস্তায় নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
এই বাসগুলি বছরে অন্তত ৭,৮২,৫৬০ টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণে সহায়তা করবে, জানিয়েছেন ওই আধিকারিক।
Cyclone Bulbul: প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস সত্ত্বেও এখনও মেলেনি কেন্দ্রীয় সহায়তা, বললেন মুখ্যমন্ত্রী
ভারতে, ১৯৮৪ সালের ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের স্মরণে প্রতিবছর ২ ডিসেম্বর দিনটি জাতীয় দূষণ প্রতিরোধ দিবস হিসাবে পালন করা হয়।
ওই বছর ২ এবং ৩ ডিসেম্বর মাঝরাতে ভোপালের একটি রাসায়নিক সংস্থা থেকে মিথাইল আইসোসায়ানেট নামের এক বিষাক্ত গ্যাস লিক করে বাইরে বেরিয়ে আসে, আর ওই গ্যাসের কারণে মৃত্যু হয় কমপক্ষে ৩ হাজার মানুষের।
দেখে নিন দেশের অন্যান্য খবর: