Google Doodle: জামফায়ার্সকু ছিলেন রোমানিয়ান ইঞ্জিনিয়ারদের জেনারেল অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম সদস্য
নিউ দিল্লি: বিশ্বের প্রথমদিকের মহিলা ইঞ্জিনিয়ার এলিসা লিওনিদা জামফায়ার্সকুসের ১৩১ তম জন্মদিন পালন করল আজকের গুগল ডুডল (Google Doodle)।
জামফায়ার্সকু ছিলেন রোমানিয়ান ইঞ্জিনিয়ারদের জেনারেল অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম সদস্য। তিনি রোমানিয়ার জিওলজিক্যাল ইন্সটিটিউটের জন্য ল্যাবরেটরিও চালাতেন। তিনি রোমানিয়ার প্রাকৃতিক উপাদান যেমন, কয়লা, শেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, ক্রোমিয়াম, বক্সাইট ও কপারের সাপ্লাই নিয়ে অনেক গবেষণা করেছেন। তার দেশ ১৯৯৩ সালে বুখারেস্ট শহরে তার নামে একটি রাস্তার নামকরণ করে এই প্রতিভাকে সম্মান জানায়।
তবে তিনি নিজের জীবনে, কেরিয়ারে এবং পড়াশোনা করতে গিয়ে অজস্র কাঠিন্যের সম্মুখীন হয়েছেন।
রোমানিয়ার বন্দর শহর গাল্টাইয়ে তার জন্ম। বুখারেস্টের সেন্টার স্কুল অফ গার্লস থেকে ভালো নম্বর নিয়ে পাশ করেন। মিনাই ভিহাজুল হাই স্কুল থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেন। কিন্তু এৱপরে বুখারেস্টের স্কুল অফ হাইওয়ে অ্যান্ড ব্রিজেসে অবেদন করলে তিনি বাতিল হন শুধুমাত্র মহিলা বলে। সে সময় মহিলা ইঞ্জিনিয়ারদের কথা শোনাই যেত না। এর ছ'বছর আগে শুধুমাত্র আইরিশ অ্যালিস পেরি বিশ্বের প্রথম মহিলা ইঞ্জিনিয়ার হয়েছিলেন।
রিজকশনে ভেঙে না পড়ে অলিসা অন্যত্র আবেদন করবেন স্থির করেন। তিনি ১০০৯ সালে জার্মনির রয়্যাল টেকনিক্যাল অ্যাকাদেমিতে আবেদন করেন যা গৃহিত হয়। সেখানেও তাকে বৈষম্যের শিকার হতে হয়। প্রতিষ্ঠানেরই একজন ডিন তাকে বলেন, তার ধর্ম, সন্তান, ও রান্নায় মন দেওয়া উচিত।
তিন বছর পরে রোমানিয়ার সংবাদপত্র মিনার্ভা ১৯১২ সালে ঘোষণা করে¸ ‘‘ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মহিলাদের ভবিষ্যত উজ্জ্বল।'' এলিসা যথেষ্ট দক্ষতার সঙ্গে পরীক্ষায় পাশ করেছেন। ক্রমাগত বৈষম্যের শিকার হয়েও তিনি যথেষ্ট দক্ষতা দেখিয়েছেন। নিজের ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
এরপরে এলিসা রোমানিয়া ফিরে এসে জিওলজিক্যাল ইন্সটিটিউটের অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে যোগ দেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ে তিনি রেড ক্রশে যোগ দেন। তখন তিনি একজন কেমিস্ট কনস্টানটাইন জামফায়ারস্কিউকে বিয়ে করেন। তাদের দুই মেয়ে হয়।
Click for more
trending news