Amit Shah: "কংগ্রেসের অন্য নেতারা দমবন্ধ পরিস্থিতিতে রয়েছেন", লেখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
হাইলাইটস
- নাম না করে গান্ধি পরিবারকে বিদ্ধ করলেন অমিত শাহ
- ১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থার জন্যে কংগ্রেসকেই দায়ী করলেন তিনি
- যাঁরা জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন তাঁদের শ্রদ্ধা জানান শাহ
নয়া দিল্লি: ১৯৭৫ সালে দেশে জরুরি অবস্থা (Emergency 1975) জারি করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি। সেই জরুরি অবস্থার ৪৫ বছর পূর্তিতে বৃহস্পতিবার টুইট করলেন অমিত শাহ। ইন্দিরা যখন জরুরি অবস্থা (Emergency) জারি করেছিলেন সেই সময় সারা দেশ জুড়ে তার বিরোধিতা করা হয়েছিল। সেই সময় যাঁরা দেশের শাসন ক্ষমতায় থাকা দলটির বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস দেখিয়েছিলেন তাঁদের সম্মান জানাতেই টুইট করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)। ১৯৭৭ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত দেশে ওই জরুরি অবস্থা জারি রেখে আসলে দেশের মানুষের স্বাধীনতা ক্ষুন্ন করা হয়েছিল, এমন অভিযোগও বিভিন্ন সময় উঠেছে। সেই সময়ের কথা মনে করে নাম না করে গান্ধি পরিবারকেই বিদ্ধ করেন অমিত শাহ। তিনি দেশকে রাতারাতি "কারাগারে" পরিণত করার জন্যে "একটি পরিবার" এর তীব্র সমালোচনা করেন।
লাদাখ সংঘর্ষ এখন রাজনৈতিক হাতিয়ার? চলছে কংগ্রেস-বিজেপি টুইট যুদ্ধ
বৃহস্পতিবার টুইটে অমিত শাহ লেখেন, "আজ থেকে ৪৫ বছর আগে এক পরিবার ক্ষমতার লোভে দেশে জরুরি অবস্থা চাপিয়ে দেয়। রাতারাতি দেশকে কারাগারে পরিণত করা হয়েছিল সেসময়। সংবাদমাধ্যম, আদালত, বাক স্বাধীনতা ... সবকিছুকেই জোর করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। অত্যাচার চালানো হয়েছিল।"
একদিনের মধ্যে ১৬,০০০ এরও বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত, মোট ৪.৭৩ লক্ষ
"শেষপর্যন্ত লক্ষ লক্ষ মানুষের চেষ্টায় দেশে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। ভারতে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল তখনই যখন কংগ্রেস ক্ষমতা থেকে সরে গেছিল। আসলে সবসময়ই একটি পরিবারের স্বার্থ দলীয় স্বার্থ এবং জাতীয় স্বার্থের থেকেও প্রাধান্য পেয়েছে। বর্তমান কংগ্রেসে এখনও সেই একই দুঃখজনক পরিস্থিতি চলছে", টুইটে লেখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
সেই সময় নাগরিক স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার এবং জরুরি অবস্থা অবসানের লক্ষ্যে লড়াই করা নেতাদের সম্মান জানাতে টুইট করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাও।
তিনি টুইট করেন, "ভারত সেই সব নেতাদের সম্মান জানায় যারা অত্যাচার সহ্য করেও জরুরি অবস্থার বিরোধিতা করেছিলেন। আমাদের সেই সব সত্যাগ্রহীদের মধ্যে দৃঢ়তা ছিল, আর তার জন্যেই সর্বগ্রাসী মানসিকতাকে হারিয়ে জয়লাভ করেছিল ভারতের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ" ।