কলকাতা: বাংলা গানের জন্মলগ্ন থেকেই তার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে লোকগীতি। অথবা, এমনভাবেও বলা যেতে পারে যে, ‘লোকগীতি' শব্দটির যে ‘লোক', তার মধ্যে থেকে সত্যের মতো করে উঠে আসা মাটি ও প্রকৃতির অমোঘ সুরটির জন্যই আরও নতুনভাবে বেঁচে উঠেছে বাংলা গান। বাংলার লোকগীতির বহু ক্ল্যাসিক প্রায় ম্যাজিকের মতো করে দশকের পর দশক ধরে বেরিয়ে এসেছিল যার মনন থেকে, সেই অমর পাল শনিবার চলে গেলেন। লোকগীতির এই জাদুকরকে বুকে ব্যথার জন্য শনিবার সকালেই ভর্তি করা হয়েছিল হাসপাতালে। সেই ব্যথাটি থেকে আর বেরোতে পারলেন না তিনি। ৯৭ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন বিকেল সাড়ে পাঁচটার সময়।
১৯২২ সালের ১৯ মে ব্রাহ্মণবেড়িয়াতে জন্ম হয় অমর পালের। তাঁর প্রথম সঙ্গীতশিক্ষক তাঁর মা দুর্গাসুন্দরী পাল। মায়ের কাছে সঙ্গীতশিক্ষার হাতেখড়ির পর তিনি শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শেখেন আয়াত আলি খানের কাছে। লোকগীতির পাঠ নেন মণি চক্রবর্তী ও সুরেন চক্রবর্তীর কাছে।
গত শতাব্দীর পঞ্চাশ দশকের মাঝামাঝি থেকেই অল ইন্ডিয়া রেডিও'র মাধ্যমে লোকগীতি গায়ক হিসাবে তাঁর উত্থান। বহু ছায়াছবিতেও গান গেয়েছেন তিনি। তার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ‘হীরক রাজার দেশে'।
শুধুমাত্র গান গাওয়া নয়। বাংলার লোকগীতি নিয়ে একাধিক বইয়েরও স্রষ্টা অমর পাল। তার জন্য পেয়েছেন দেশবিদেশের বহু সম্মান।
তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “কিংবদন্তী লোকগীতি গায়ক অমর পালের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে আমি গভীরভাবে শোকাহত। হীরক রাজার দেশে এবং নিমন্ত্রণ-এর মতো ছবিতে তাঁর কাজ চিরকাল মনে রেখে দেবেন মানুষ। তাঁর পরিবারের প্রতি রইল আমার গভীর সমবেদনা”।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)