This Article is From Feb 18, 2020

‘দাদার কীর্তির পরেও লোকাল ট্রেনে যাতায়াত করতেন তাপস’: অনুপ সেনগুপ্ত

প্রাক্তন সাংসদ-অভিনেতাকে নিয়ে বলতে গিয়ে ভেজা চোখের বিষণ্ণতা অনুপের গলাতেও। প্রথমেই অকপট স্বীকারোক্তি, ‘খুব কাছের, ভীষণ ভালো বন্ধুকে হারালাম।’

Advertisement
বিনোদন Reported by , Written by

'বন্ধু আমার চলে গেছে পৃথিবী থেকে'....

কলকাতা:

তপন সিংহ, তরুণ মজুমদার, অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়, প্রভাত রায়ের মতো সমান্তরাল ছবির পরিচালকদের যেমন প্রিয় ছিলেন তাপস পাল (Tapas Paul), তাঁকে ভীষণ পছন্দ করতেন অনুপ সেনগুপ্তর (Anup Sengupta) মতো তথাকথিত বাণিজ্যিক ছবির পরিচালকেরাও। মঙ্গলবার সকালে প্রাক্তন সাংসদ-অভিনেতাকে নিয়ে বলতে গিয়ে ভেজা চোখের বিষণ্ণতা অনুপের গলাতেও। প্রথমেই অকপট স্বীকারোক্তি, ‘খুব কাছের, ভীষণ ভালো বন্ধুকে হারালাম।' তারপরেই স্মৃতিপথে ফিরে গেলেন আট-নয়ের দশকে---

‘মাত্র ২০টি সংলাপ আর অভিব্যক্তির জোরে হিট গুরুদক্ষিণা': হরনাথ চক্রবর্তী

'তাপস আমার কাছে পরে অভিনেতা। আগে পরম বন্ধু। 'সাহেব' ছবির পর থেকে ওর সঙ্গে আলাপ। 'দাদার কীর্তি' সুপারহিট। তারপরেও স্ট্রাগল শেষ হয়নি তাপসের। লোকাল ট্রেনে চেপে রোজ চন্দননগর থেকে যাতাযাত করত। চন্দননগরের বাড়িতে বহুবার ওর সঙ্গে গেছি ট্রেনে করে। তারপর তাপসকে নিয়ে পারাবাত প্রিয়া বানালেন দীপরঞ্জন বসু । আমি তার সহকারি পরিচালক। এক স্ক্রিনে তাপস-দেবশ্রী-মহুয়া রায়চৌধুরী। সুপারহিট হয়েছিল বক্সঅফিসে। এটা সম্ভবত তাপসের তৃতীয় ছবি।

Advertisement

তখন একটা সময় ছিল। পরিচালক-অভিনেতা-অভিনেত্রীরা যেন এক পরিবারে লোক। মনে আছে, একবার আমার একটি ছবির শুট করতে করতে রাত বারোটায় আমরা তিনজনে মিলে রাতের কলকাতা দেখতে বেরিয়েছিলাম। সঙ্গে ছিলেন চুমকি অর্থআৎ দেবশ্রী রায়ের দিদি। ঘুরেফিরে হুল্লোড় করে ফের শুট শুরু। কতদিন চুমকীর বাড়িতে বসে মুড়ি, তেলেভাজা খেয়েছি।

Advertisement

তাপস-দেবশ্রীর আগে তাপস-মহুয়া জুটিও দারুণ হিট করেছিল। এক মাসে আগেই গড়িয়াহাটে তাপসের সঙ্গে দেখা হয়েছিল হঠাৎ। বাড়ি ডেকে নিয়ে গিয়ে কত আড্ডা! পুরনো দিনের কথা। এখনকার কথা। আজ সেসব বড় বেশি করে মনে পড়ছে। আমার প্রায় খান দশেক ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তাপস। ভালো ব্যবসা করেছে সবকটা ছবি। তার মধ্যে মায়ের আঁচল, প্রতিদ্বন্দী অসম্ভব জনপ্রিয়। সেই সময় তাপস পাল আর প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের মধ্যে একটা চাপা দ্বন্দ্ব ছিল। ইন্ডাস্ট্রি সেই সময় এগিয়ে রাখত তাপসকে। কারণ, তাপসের মতো দরদী অভিনয় খুব কম অভিনেতাই করতে পারতেন। বুম্বাদাও অবশ্য কোনও অংশে কমতি নন। তবে সেই সময়ে একটু হলেও এগিয়ে ছিলেন তাপস।

‘দাদার কীর্তির জন্য তাপসের অডিশন নিয়েছিলাম আমিই': সন্ধ্যা রায়

Advertisement

সকালে উঠে খবরটা শুনেই মনে হল, এবারই ভালো মানুষের আকাল পড়তে চলেছে। তাপস খুব ভালো ছেলে, ভালো মানুষ, ভালো অভিনেতা ছিলেন। তাপসকে বাংলা ইন্ডাস্ট্রি ভুলবে কেমন করে?'

Advertisement