হরনাথ চক্রবর্তীর একাধিক ছবির নায়ক তাপস পাল
আলাপ ‘দাদার কীর্তি'র পর থেকেই। ঘনিষ্ঠতা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরীর ‘গুরুদক্ষিণা'র সময় থেকে। তারপর আট-নয়ের দশকের জনপ্রিয় কমাশির্য়াল ছবির পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তীর (Haranath ChakrabortyHaranath Chakraborty) একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন তাপস পাল (Tapas Paul)। কেমন ছিল সেই অভিজ্ঞতা? মুঠোফোনে ভারাক্রান্ত গলায় পরিচালক সামনে আনলেন সেই গল্প—
‘দাদার কীর্তির জন্য তাপসের অডিশন নিয়েছিলাম আমিই': সন্ধ্যা রায়
‘তাপসের সঙ্গে আমার পরিচয় তরুণ মজুমদারের ‘দাদার কীর্তি'র পর থেকেই। ও তখন একের পর এক ছবির নায়ক। আমি সহকারি পরিচালক। সেই আলাপ ঘনিষ্ঠতায় পরিণত হয় অঞ্জন চৌধুরীর গুরুদক্ষিণা ছবির সময় থেকে। আমি তখন অঞ্জনদার সহকারি পরিচালক। জোরকদমে ছবির শুট চলছে। হঠাৎ একদিন তাপস আমায় ডেকে বলল, সারা ছবিতে মাত্র ২০টা সংলাপ! কী হবে এতে? বললাম, ওই সংলাপ আর অভিব্যক্তির জোরেই হিট হবে ছবি। তুমি দেখে নিও।
আমার কথা ফলল। ছবি শুধু হিট নয়, বাম্পার হিট হল। হাজার হাজার মানুষ আজও তাপস পাল বললেই বোঝেন দাদার কীর্তি আর গুরুদক্ষিণা। সেদিন ডেকে তাপসকে বলেছিলাম আমার কথা ফলল! একগান হেসে তাপস মাথা নাড়িয়েছিল। খুব খুশি হয়েছিল ও। সেই সময় আমরা সবাই পরিবারের মতো ছিলাম। একসঙ্গে কাজ, আড্ডা, হুল্লোড়। তাপস বরাবরই বাংলা ছবির দর্শকদের খুব বুকের কাছের। দাদার কীর্তিতে যেমন বাড়ির ভোলেভালা বড় ছেলে। খুব মানিয়েছিল ওই চরিত্রে। তারপর থেকেই তাপস বাঙালি ঘরের ছেলে। আবার সাহেব ছবিতে বোনের বিয়ের জন্য নিজের কিডনি বেচে পয়সা জোগাড় করা এক ভাই। সেই ছবি ওকে সব বোনের হৃদয়ে পাকা জায়গা করে দিল। বেশির ভাগ চরিত্রে এমন প্যাথোস ব্যাপার ছিল যে তার জোরেই মহিলা মহলে জায়গা পাকা করে নিয়েছিল তাপস অবলীলায়।
‘তাপসের অভাব অনুভব করছি': টুইটে মাধুরী দীক্ষিত
আর ছিল তাপসের রমণীমোহন হাসি, সরল-ভালোমানুষ চেহারা। এতেও ওর প্রতি দুর্বলতা অনুভব করত মেয়েরা। মঙ্গলদীপ, সংঘর্ষ- সহ একাধিক ছবিতে তাপসের অভিনয় মানুষ মনে রাখবে আজীবন। ওর আত্মার শান্তি কামনা করি। '